দুই সঙ্গী নিয়ে চট্টগ্রামের মেয়র কোরিয়া গেলেন ময়লা-আবর্জনার ব্যবস্থাপনা ‘শিখতে’

ময়লা-আবর্জনার আধুনিক ব্যবস্থাপনা ‘শেখার’ জন্য দুই সঙ্গী নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া উড়ে গেলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এক সপ্তাহের এই সফরে তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ‘স্টাডি’ করবেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব।

দুই সঙ্গী নিয়ে চট্টগ্রামের মেয়র কোরিয়া গেলেন ময়লা-আবর্জনার ব্যবস্থাপনা ‘শিখতে’ 1

দক্ষিণ কোরিয়া যাত্রায় গেলেন মেয়র রেজাউলের সফরসঙ্গী হয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক এবং প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ একটি ফ্লাইটে ঢাকা পৌঁছান। পরে সেখান থেকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন তিন সদস্যের এই টিম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিটি কর্পোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্টাডি করতে সিটি কর্পোরেশনের একটি দল দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গেছে। ওখানকার ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট শিখে তা এখানে প্রয়োগ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সোমবার (৯ জানুয়ারি) মেয়রের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় যেতে পারেননি। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে প্রজ্ঞাপন জারি হলে সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।’

এক সপ্তাহের এই সফরের সম্পূর্ণ খরচ দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কোম্পানি বহন করবে বলেও জানান সচিব খালেদ মাহমুদ।

আগামী ১৭ জানুয়ারি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ শেষে সিটি মেয়রের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে মেয়রকে বিদায় জানান ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটন, ছালেহ আহমদ চৌধুরী, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, জহর লাল হাজারী, আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লাহ চৌধুরী, নূর মোস্তফা টিনু, ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, সিবিএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহিদুল আলম চৌধুরীসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।

গত বছরের ১২ মে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ সফরের লাগাম টেনে ধরতে খুব প্রয়োজন না হলে বিদেশ সফরের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার৷ পরবর্তীতে ওই বছরের ২০ জুলাই অত্যাবশ্যক না হলে বিদেশ সফর পরিহার করার জন্য অপর এক নির্দেশনা জারি করে। এরপরও সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের লাগাম টানা যাচ্ছে না৷ চর দেখতে, মশলার চাষ শিখতে, মেডিকেল যন্ত্রপাতির প্রশিক্ষণ নিতে, পড়াশোনা করানো শিখতে বিদেশ সফর অব্যাহত রেখেছেন তারা৷

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!