দুই মেয়েকে গলাটিপে হত্যাকারী বাবাও চলে গেলেন না ফেরার দেশে

দুই মেয়েকে গলাটিপে হত্যার পর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করা সেই বাবা মুখেন্দু বড়ুয়াও মারা গেলেন।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) গভীর রাতের যে কোনও একসময়ে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের ভান্ডারগাঁও গ্রামের বড়ুয়া পাড়ায় শ্বশুর বাড়িতে দুই মেয়েকে গলাটিপে হত্যার পর বিষপান করে আত্নহত্যার চেষ্টা চালান মুখেন্দু বড়ুয়া (৫০)। বুধবার (১ জুলাই) সকালে অচেতন অবস্থায় মুখেন্দু বড়ুয়াকে পুকুর ঘাট থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নিয়ে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত দুই মেয়ের খালু শৈবাল বড়ুয়া বাদি হয়ে মুখেন্দু বড়ুয়াকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন পটিয়া থানায়।

এদিকে, নিহত দুই মেয়েকে চমেক হাসপাতালে পোস্ট মর্টেম শেষে বুধবার রাতে নানার বাড়িতে সৎকার করা হয়েছে।

নিহত টুকু বড়ুয়া (১৫) কাশিয়াইশ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তার ছোট বোন নিশি বড়ুয়া (১০) ভান্ডারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।

এ ঘটনায় বুধবার ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হকসহ পুলিশের একটি বিশেষ ঠিম।

এসময় তারা ধারণা করেন, মুখেন্দু বড়ুয়া চার বছর আগে স্ত্রীকে হারান। সম্প্রতি লকডাউনের কারণে জাহাজের চাকরি হারিয়ে হতাশা থেকে এ ধরনের হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তবে মুখেন্দু বড়ুয়া সুস্থ হয়ে উঠলে আসল রহস্য উদঘাটন করা যাবে। কিন্তু তার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ফলে কি কারণে এই হত্যাযজ্ঞ তা অজানাই রয়ে গেল।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!