দুই ছিনতাইকারিকে ধরে পুলিশে দিল জনতা

দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া পৌরশহরের বিভিন্ন অলিগলিতে বেশ কয়েকটি ছিনতাইকারি চক্র উৎপাত করছে। এসব ছিনতাইকারি চক্রের কবলে পড়ে অনেকে হারিয়েছে নগদ টাকা, মোবাইল ও নানা মূল্যবান জিনিসপত্র। কিন্তু খুব একটা প্রতিকার মিলছিল না। ফলে সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয় ব্যবসায়ীদের।
তবে এবার ভয়কে জয় করে এক দোকান কর্মচারীর টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় স্থানীয়রা দুই ছিনতাইকারিকে আটক করে। পরে তাদের তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গা হিন্দুপাড়ায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে দোকান কর্মচারী মো. আমজাদ হোসেন বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন। এতে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

মামলার আসামিরা হলো- চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে মোস্তফা কামাল মনির (১৯), চকরিয়া পৌরশহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সোসাইটি পাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. রাফিজুল ইসলাম রাতুল (১৯), একই এলাকার জাফর আলমের ছেলে আরিফ (১৯) ও মনু ড্রাইভারের ছেলে ফাহিম (১৯)।

বাদি মো. আমজাদ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া পৌরশহরের বালিকা বিদ্যালয় সড়কের দত্ত এন্ড হার্ডওয়ারে চাকরি করে আসছেন। বৃহস্পতিবার দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার সময় পথরোধ করে তাকে মারধর করতে থাকে। এসময় তার সাথে থাকা মোবাইল ও ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তিনি চিৎকার করলে লোকজন এগিয়ে এসে ছিনতাইকারিদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

স্থানীয়রা জানান, পৌরশহরের বালিকা বিদ্যালয় সড়ক, ওয়াপদা সড়ক, বিমান সড়কগুলো এখন ছিনতাইকারিদের দখলে। এই সড়কের কুলিং কর্ণারগুলো তাদের আড্ডার স্থান। তারা প্রায়ই বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে মোবাইল, নগদ টাকাসহ নানা জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। তবে কোন ছিনতাইকারি ধরা পড়লে তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য চক্রের অন্যান্য সদস্যরা হাজির হয়ে যায়। এসময় তারা নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দিতে থাকে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, এক দোকান কর্মচারীর কাছ থেকে মোবাইল ছিনতাই ও মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। পৌরশহরসহ পুরো উপজেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ কাজ করছে। কেউ অপরাধ করে পার পাবার সুযোগ নেই।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!