আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রথম দফায় পটিয়ার ৪২ জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পাচ্ছে ‘বীর নিবাস’। ১৪ লাখ ১০ টাকা ব্যয়ে দুই কাঠা জমিতে প্রকল্পের প্রতিটি ১৭৬৩ বর্গফুটের ঘরে থাকবে ২টি বেড রুম, ১টি ডাইনিং রুম, ১টি কিচেন রুম ও ২টি বাথরুম।
জানা গেছে, বীর নিবাস নির্মাণ শুরুর আগেই যাচাই-বাছাই করে উপজেলার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নামে এসব ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘরের বরাদ্দ পেয়ে খুশি অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার। সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অসচ্ছল-শহীদ-প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা করে এক একটি পাকাঘর তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবেই প্রথম ধাপের পটিয়ার ৪২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারি এসব ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে বেশিরভাগ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। সরকার যে ঘরগুলো দিচ্ছে তা অবশ্যই ভালো কাজ। এতে করে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা তাদের মাথাগোঁজার ঠাঁই পাবেন এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে থাকতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুল মামুন বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। সরকার দেশের অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা ভেবে তাদের জন্য পাকাঘর নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ঘরের বরাদ্দ পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ভীষণ উপকৃত হচ্ছেন। এ প্রকল্প মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে সাড়া ফেলেছে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জমিরুল ইসলাম বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রথম পর্যায়ের ৪২টি ‘বীর নিবাস’ নির্মাণকাজের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কাঠা জমির ওপর নির্মিত প্রতিটি ঘরের আকার হবে ১৭৬৩ বর্গফুট। ২২ ফুট প্রস্থ আর ২৫ ফুট দৈর্ঘ্যের এ ঘরটিতে ২টি বেড রুম, ১টি ডাইনিং রুম, ১টি কিচেন রুম ও ২টি বাথরুম থাকছে প্রতিটি বীর নিবাসে।’
ডিজে