দুঃস্থদের বাড়িতেই পৌঁছে যাচ্ছে রান্না করা খাবার, প্রতিদিন হাজার মানুষের মুখে হাসি

করোনার এ দুঃসময়ে অসহায় মানুষ যখন অভুক্ত রাত কাটাচ্ছে তখন তাদের মুখে হাসি ফোটাতে এগিয়ে আসছেন মানবিক মানুষেরা। তেমনই একজন চট্টগ্রামের ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসরারুল হক। তিনি সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্দেশনায় প্রতিদিন ১ হাজার অসহায় পরিবার ও পথবাসী মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করছেন। সে সাথে করোনা রোগীদের ফ্রি পরিবহন সেবা দিয়ে তাদের মুখে হাসি ছড়ানোর কাজও করে যাচ্ছেন।

রোববার (১১ জুলাই) সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এসরারুল হকের মানবিক এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউনের কারণে দিনমজুর, নিম্ন আয়ের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তারা অনাহারে অর্ধাহারে থেকে জীবনের সাথে লড়াই করে যাচ্ছেন। সরকারের ত্রাণ ও অর্থ সহায়তার পাশাপাশি আমাদের বিত্তবানদেরও তাদের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারীর কঠিন সময়ে সরকার জনগণের পাশে আছে। আগামীতেও পাশে থাকবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সারা বিশ্বেই যখন মৃত্যু ও সংক্রমণের হার উর্দ্ধগতিতে সেখানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি তাদের চেয়ে ভালো রয়েছে। সামনে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সরকারের সামর্থ ও নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে গরীব অসহায় মানুষের পাশে থাকবো। মেয়র সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানান।

প্রতিদিন ফরিদের পাড়া, খোন্দকার পাড়া, শমসের পাড়া, সাধুর পাড়া, ছিদ্দিক খলিফার বাড়ি, বোচন মিস্ত্রির বাড়ি, আব্দুল হালিম মেম্বারের বাড়ি, মনির বাড়ি মুন্সি বাড়ি, চুনার টাল, খলিফা পাড়া, দর্জি পাড়া, গোলাম আলী নাজির পাড়া, নুরুজ্জামান বাড়ি, হামিদচর দাশ পাড়া, সিএনবি বড়ুয়া পাড়া(মধ্যম), বি এফ আই ডি সি রোড হিন্দু পাড়া, বাহির সিগন্যাল বড় বড়ুয়া পাড়া, পশ্চিম বড়ুয়া পাড়াসহ চান্দগাঁও ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় অসহায় পরিবার ও পথবাসী মানুষের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করা হয়।

এ বিষয়ে চান্দগাঁও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসরারুল হক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর লকডাউনে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। যার কারণে নিম্ন আয়ের দিনমজুর মানুষ কর্মহীন হয়ে গেছে। তারা যেন না খেয়ে অনাহারে অর্ধহারে না থাকে সে জন্য মানবিক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্দেশে প্রতিদিন ১ হাজার মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করে আসছি। যতোদিন লকডাউন থাকবে ততোদিন নিজের সামর্থ অনুযায়ী তাদের মাঝে খাবার বিতরণ অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারীর শুরু থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিনা খরচে অক্সিজেন ও পরিবহন সেবা সেন্টার খুলে সেবা দিয়ে আসছি। রাতে কারো অক্সিজেন প্রয়োজন হলে নিজে গিয়ে রোগীর ঘরে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়ে আসছি। আগামীতে যতোদিন লকডাউন থাকবে ততোদিন এই কর্মসূচি চলমান থাকবে।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!