দুঃখেও স্বপ্ন ছাড়েনি মেহেদী

দুঃখেও স্বপ্ন ছাড়েনি মেহেদী 1মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া: মনের আনন্দে একপাল গরু নিয়ে রাস্তার পাশ ধরে হেটে যাচ্ছে এক শিশু ছেলে। শিশু ছেলেটির পরণে হাফ হাতা শার্ট, জিন্সের পেন্ট ও পায়ে রাবারের তৈরী সেন্ডেল। হাতে রয়েছে একটি লাটি। সে লাটি দিয়ে গরুর পালকে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ির দিকে। অন্য ছেলেরা যখন অবসর পেলে খেলা মত্ত থাকে কিন্তু সে না খেলে গরু নিয়ে ঘুরতেই বেশী ভালবাসে। অভাবের সংসারে রাখালে দুঃখে ভরা দায়িত্ব পালনের পরও পড়া-লেখার স্বপ্ন ছাড়েনি মেহেদী।
দৃশ্যটি চোখে পড়ে এ প্রতিবেদকের। জাগে কৌতুহল। অনেকবার তার নাম জিজ্ঞেস করার পর মুখ খুলে সে। নাম বলে মেহেদী হাসান। বয়স ১০ কি ১১। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাতামুহুরী ক্যাডেট মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীতে পড়ে । বাবা নুরুল কবির মৎস্য খামারে চাকুরী করেন। ওরা তিন ভাই। মেহেদী সর্ব কনিষ্ঠ। দরিদ্র পরিবারের সন্তান মেহেদী। বর্গা চাষের পাশাপাাশি চাকুরীতে অল্প আয়ের সংসার। গৃহিণী মা। বড় দুই ভাইও পড়ালেখায়। জোড়াতালি দিয়ে চলছে এই দরিদ্র পরিবারটি।
মেহেদী জানায়, সে নিয়মিত মাদ্রাসায় যায়। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সে মাদ্রাসায় পড়ালেখায় ব্যস্ত থাকে। দুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে এসে ভাত খেয়ে বাড়ির গরুগুলো নিয়ে চড়াতে বের হয়। সেটি তার কর্ম নয়। মনের আনন্দে মাঠে বের হয় গরু চড়াতে। অন্য ছেলেরা যখন খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত সে তখন গরু নিয়েই নিজের খেলা ও ঘরের কাজ সারে বলেও জানায়।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই ঘরে ফেরে মুখ-হাত ধুয়ে পড়তে বসে। এভাবেই কাটছে মেহেদীর শিশুকাল। তারও আছে ভবিষ্যৎ স্বপ্ন। বড় হয়ে বড় অফিসার হবে দুঃখ গোছাবে বাবা-মা’র।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!