দীর্ঘদিন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয় : বান কি মুন

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যাটি অবশেষে বাংলাদেশের জন্য অসহনীয় সংকট হতে পারে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশের জন্য বড় ‘বোঝা’ হিসেবে রূপ নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়।

বুধবার (১০ জুলাই) বিকাল ৪টায় ঢাকা থেকে সরাসরি হেলিকপ্টারযোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০ এর হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন তিনি। বিকেল ৫টায় কুতুপালং ১৭ নম্বর ক্যাম্প পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিলডা হেইনিও ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সিইও ক্রিসটিলিন জর্জিয়েভ।

এ সময় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোঁজখবর নেন।
জানুয়ারি ২০০৭ থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ান কূটনীতিক বান কি মুন জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার সরকারকে আরো বেশি কিছু করতে হবে। যাতে রোহিঙ্গারা ভয়হীনভাবে তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে আগ্রহী হয়। নানামুখী সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের মানুষের প্রশংসা করেন মুন।

বিশ্বব্যাংকের সিইও বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশিদের উদারতা ও দুর্বল রোহিঙ্গাদের প্রতি আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এম শাহাব উদ্দিন বিদেশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। ওইদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হিলডা হেইনিও বন ও জর্জিয়েভাও আলাদা-আলাদা চারা রোপণ করেন।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থেকে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পরবর্তী পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ এখন জাতিসংঘের পাঠ্যবইয়ে স্থান করে নিয়েছে বলেন জাতিসংঘের এই কর্তা ব্যক্তিরা।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!