দিনভর বর্ষণে ডুবছে চট্টগ্রাম, ৩ নম্বর সংকেত বন্দরে

নগরের নিচু এলাকার মানুষ ঘরবন্দি

ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম শহরের নিম্নাঞ্চল। কয়েকদিনের থেমে থেমে টানা বর্ষণের সাথে বুধবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে ঝড়ছে মুষলধারে বৃষ্টি। ঘনকালো মেঘে ছেয়ে আছে চারিদিক। থেমে থেমে চলছে ভারি বৃষ্টিপাত।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের উপর মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তা ও লঘুচাপ এখনো আগের জায়গাতেই অবস্থান থাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। চলবে আরও কয়েকদিন। খবর নিয়ে জানা গেছে, নগরের হালিশহর, আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ, প্রবর্তক মোড়সহ বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

সড়কে যানবাহনের চাপ না থাকায় ও লোক চলাচল কম থাকায় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়নি সাধারন লোকজনকে। তবে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন যথারীতি রিকশা সংকটে চরম দুর্ভোগের শিকার হন। অনেকে বাধ্য হয়ে তিন/চার গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছান।

জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ’র অধীনে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বড় প্রকল্পের কাজ চলছে। সংস্কারের কাজ চলাকালেই এ সব সড়কে খানা খন্দ সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টির পানি জমে আছে।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গাস্থ আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ বিশ্বজিৎ জানান, বুধবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টা পরযন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৯৫ মিলিলিটার। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অতিভারি বৃষ্টিপাতে তা ৯৯ মিলিলিটার অতিক্রম করে যাবে। সাথে রয়েছে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা।

এদিকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে কূলে অবস্থান করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

আইএমই/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!