দিঘীতেই মিললো দিঘী কর্মচারীর লাশ, ঘটনা রহস্যজনক

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বেলাল হোসেন (৪৫) নামে এক দিঘীতে কর্মরত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে সেই দিঘীতেই।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাহেবদীনগর গ্রামের জামশেদ আলমের দিঘী থেকে জাল মেরে বেলাল হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রহস্যজনকভাবে মারা যাওয়া বেলাল হোসেন উপজেলার ওচমানপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ওচমানপুর গ্রামের ওয়ারেত উল্ল্যাহ মিস্ত্রি বাড়ীর আবদুল ওহাবের পুত্র। তার দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের সাহেবদীনগর গ্রামের জামশেদ আলমের দিঘীতে কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন বেলাল হোসেন। তিনি ১২ দিন আগে ওই দিঘীতে কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে দিঘীতে জাল ফেললে রাত ৮ টার দিকে তার লাশ উঠে আসে।

দিঘীর মালিক জামশেদ আলম জানান, বেলাল হোসেন ইতিপূর্বেও আমার ৪ একর আয়তনের দিঘীতে কাজ করেছিল। পরবর্তীতে তিনি অন্য একটি দিঘীতেও কাজ করে। সর্বশেষ ১২ দিন পূর্বে আমার আরেক দিঘীতে আবার কর্মচারী হিসেবে যোগ দেয়। তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানতে পারি কয়েকদিন যাবত তিনি অসুস্থতাবোধ করছিলেন। ধারণা করছি অসুস্থতার কারণে হয়তো কাজ করার একপর্যায়ে তিনি দিঘীতে পড়ে গেলে আর উঠতে না পারার কারণে মৃত্যু হয়েছে।

ওচমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন জানান, বেলাল হোসেন আমার চাচাতো ভাই। তিনি দীর্ঘদিন যাবত দিঘীতে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। তিনি কয়েকদিন যাবত জ্বরে ভুগছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে যে দিঘীতে কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিল ওই দিঘীর পাড়ের এক স্থানে উনি যেই দা দিয়ে কাজ করতো ওই দা-এর পাশে দিঘীতে জাল ফেললে তার লাশ ভেসে উঠে।

জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর হোসেন মামুন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!