দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় শুদ্ধি অভিযান চলছে: ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘অপরাধ ও অপকর্মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন শেখ হাসিনা। সব অপকর্মের শাস্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যত বড় মাস্তান হোক, যত বড় নেতাই হোক, যত বড় প্রভাবশালী হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘দলের ভাবমূর্তির জন্য দলের ভেতরে তৈরি হওয়া আগাছা ও পরগাছাগুলো পরিস্কার করতেই ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শুরু হয়েছে অ্যাকশন। শুধু ঢাকা নয় সারাদেশে এই শুদ্ধি অভিযান চলবে। এই অভিযানের মাধ্যমে টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে। তিনি শনিবার বিকেলে কক্সবাজার শহরের পর্যটন গলফ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই প্রতিনিধি সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে কোনো মূল্যে দলের এই সংকটে ও সন্ধিক্ষণে দলের আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বরের জাতীয় সম্মেলন সফলভাবে করা হবে। তাই আপনারা সবাই এক্যবদ্ধ থাকবেন। কেউ কোনোভাবে বিভেদ সৃষ্টি করবেন না। কলহ, কোন্দল পরিহার করে আওয়ামী লীগকে এক রাখবেন। দলের অগণিত কর্মীরাই হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রাণ। কর্মীদের প্রাণশক্তির জন্যই শেখ ওয়ান-ইলেভেনের সেই দুঃসময় থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। এভাবে এই কর্মীরাই আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে রেখেছে। দুর্যোগে ও দুঃসময়ের কর্মীরাই হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রাণশক্তি।

সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গ তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এক সংগ্রাম শুরু করেছি। যে সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাড়ককে অবস্থান করছে। অনেক অর্জন, অনেক উন্নয়ন আমরা করেছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আজ বিশ্বজুড়ে সমাদৃত, প্রশংসিত একজন রাষ্ট্রনায়ক হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তার এই উন্নয়নের জন্য, অর্জন পরিশ্রম, সততা, সাহস ও উদারতার জন্য সারা বিশ্বে আজ শেখ হাসিনা অত্যন্ত সমাদৃত।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানবতার দিক বিবেচনায় নির্যাতনের মুখে পালিয়ে রোহিঙ্গাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি। তার এই অর্থ নয় যে, তাদেরকে আমরা চিরদিন রাখবো। সেটা আমাদের পক্ষে সম্ভব না কিন্তু এই নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে বিএনপি। তারা ওই সময় রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিশ্বের কাছে নালিশ দিয়েছেন। আর এখন তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কিন্তু আমরা তা হতে দেবো না। তাদেরকে যে কোনো মূল্যে ফেরত পাঠাতে কাজ করছে সরকার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!