দর্শনার্থীদের নজর আফ্রিকান ওয়াইল্ড ডি বিষ্ট জুটির বাচ্চাদের দিকে

দর্শনার্থীদের নজর আফ্রিকান ওয়াইল্ড ডি বিষ্ট জুটির বাচ্চাদের দিকে 1মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া: সোস্যাল এ্যানিমেল খ্যাত আফ্রিকান ওয়াইল্ড ডি বিষ্ট বংশ বিস্তার অব্যাহত রেখেছে কক্সবাজারের চকরিয়াস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। নয় মাসের ব্যবধানে প্রসব করা বাচ্চা এখন পর্যটকদের নজর কাড়ছে। এক বছর পূর্বে মহিলা বাচ্চা ও গত ২৪ মে পুরুষ বাচ্চা প্রসব করে ২০০৫ সালে আফ্রিকা থেকে ৩৪ লাখ টাকায় ক্রয় করে আনা ওয়াইল্ড ডি বিষ্ট জুটি।
সরজমিনে সাফারি পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, ১৭ বছর বয়সি ওয়াইল্ড ডি বিষ্ট জুটি তাদের সদ্যজাত ছোট বাচ্চা নিয়ে উন্মুক্ত বেষ্টনিতে বিচরণ করছে। বাইরের মানুষ দেখলেই এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছে। আফ্রিকান এই জুটির সাথে ওই বেষ্টনিতে বেশ ক’টি বন মোরগকেউ চড়তে দেখা গেছে।
জানতে চাইলে সাফারি পার্কের কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ২০০৫ সালে দুই বছর বয়সি পুরুষ ও স্ত্রী লিঙ্গের দুটি ওয়াইল্ড ডি বিষ্ট ৩৪ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করে আফ্রিকা থেকে বিমাণে করে আনা হয়। ওই জুটি ৫-৬ বছর বয়সে সাবালক হয়। তারা সাবালক হওয়ার পর ৭-৮ মাস অন্তর বাচ্চা প্রসব করতে পারে। আফ্রিকান এই প্রাণী দেখতে প্রতিদিনেই ভীড় করে দর্শনার্থীরা। তাদের আগ্রহ আরো বেড়ে যায় এক বছর পূর্বে বাচ্চা দেয়ার পর। ওই বাচ্চাটি বড় হয়ে উঠার আগেই নয় মাসের ব্যবধানে ২৪ মে ফের বাচ্চা প্রসব করে। বড় বাচ্চাটিকে আলাদা বেষ্টনিতে রাখা হয়েছে। ছোট বাচ্চাটি মা-বাবার সাথে রয়েছে।
মাজহার চৌধুরী আরো বলেন, ওয়াইল্ড ডি বিষ্ট আফ্রিকার প্রাণী হলেও গরু-মহিষের মতো তৃণভোজী। এই প্রাণী ঘাষ, লতা-পাতা, সবজি ও ভুষি খায়। তারা দলগতভাবে থাকতে অব্যস্থ। তাই এই প্রাণীকে সমাজবদ্ধ জীব বলা হয়ে থাকে। ওয়াইল্ড ডি বিষ্ট আবদ্ধ অবস্থায় ২০ থেকে ২৫ বছর এবং উন্মক্ত অবস্থায় ২৭-২৮ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!