দরপতন হয়েছে সব লেনদেন ও মূল্যসূচকে

চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জ

দেশের দ্বিতীয় প্রধান পুঁজি বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে (সিএসই) সব ধরনের মূল্যসূচক ও লেনদেন (টার্নওভার) কমেছে। তবে শেয়ারের দর বেড়েছে এমন কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে এবং দর কমার কোম্পানির সংখ্যা কমেছে। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন,‘বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়ায় এবং অর্থনৈতিক প্যারামিটারগুলো অনুকূলে না থাকায় পুঁজিবাজারে লেনদেন ও সূচক কমেছে। যদিও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রোববার (১৪ এপ্রিল) শেয়ার বাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল।’

সিএসই সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত সপ্তাহে (১৫-১৮ এপ্রিল) সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি ১০ লাখ ২৬ হাজার ৭৪৫ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে (৭-১১ এপ্রিল)-এর লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৫৩ কোটি ৬৮ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৩ টাকার শেয়ার। এই হিসেবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ১০১ কোটি ৫৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। গত সপ্তাহে (১৫-১৮ এপ্রিল) ১ কোটি ৮১ লাখ ৬ হাজার ৫৪০ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে (৭-১১ এপ্রিল) লেনদেনকৃত শেয়ারের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৫২ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৩ টাকা।

গত সপ্তাহে (১৫-১৮ এপ্রিল) সিএসইতে সবগুলো মূল্য সূচকই কমেছে। সাধারণ মূল্য সূচক সিএসসিএক্স শুন্য দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮৪২ দশমিক ৯২৭২ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে (৭-১১ এপ্রিল) তা ছিল ৯ হাজার ৮৭৩ দশমিক ৫৮২৭ পয়েন্ট। অন্যদিকে, সার্বিক সূচক সিএএসপিআই শুন্য দশমিক ২৬৩৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২৬৪ দশমিক ৯৫১৭ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে (৭-১১ এপ্রিল) তা ছিল ১৬ হাজার ৩০৭ দশমিক ৮৯৩৭ পয়েন্ট।

সিএসএইতে গত সপ্তাহ জুড়ে মোট ২৮৫ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এরমধ্যে দর বেড়েছে ১২৭টির, দর কমেছে ১২৮টির এবং অপরিবর্তীত ছিল ৩০টির। এর আগের সপ্তাহেও (৭-১১ এপ্রিল) মোট ২৮৫ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এরমধ্যে দর বেড়েছিল ৩৫, কমেছিল ২২৮ এবং অপরিবর্তীত ছিল ২২ কোম্পানির শেয়ার দর।

জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘২০১০-১১ সালের পর থেকেও বর্তমানে শেয়ার বাজারের অবস্থা খারাপ। কিন্তু কেউ আওয়াজ তুলছে না। অর্থনৈতিক প্যারামিটারগুলো অনুকূলে না থাকায় বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে না। ব্যাংকে তারল্য সংকট রয়েছে, ব্যাংকগুলো এফডিআর ভাঙ্গাতে পারছে না। মানি মার্কেট, বন্ড মার্কে ও ট্রেজারি মার্কেটের পারফরমেন্স খারাপ। এর ফলে সিকিউরিটির চাহিদা কমে গেছে।’

শেয়ার বাজারকে পুনরায় চাঙ্গা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনজর প্রয়োজন বলেও মত প্রকাশ করেছেন মোহাম্মদ সালেহ জহুর।

এমএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!