দক্ষিণ জেলা যুবলীগ সভাপতির পরিবারেই ৪ করোনা পজিটিভ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় একই পরিবারের তিনজনসহ নতুন করে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হলেন আরও ৭ জন। এ নিয়ে পটিয়ায় ২৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন।

নতুন শনাক্ত হলেন যারা, তাদের মধ্যে পটিয়া পৌরসভার গোবিন্দারখীল এলাকার একই পরিবারের তিন সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ ম ম টিপু সুলতানের স্ত্রী (৩৮) এবং তাদের ১৩ ও ৮ বছরের দুই সন্তান। তিন দিন আগে ওই পরিবারে ৯০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার নমুনা করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। এরপর ওই পরিবারের বাকি সদস্যরা করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন।

এছাড়া নতুন করোনা পজিটিভ ৭ জনের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য। তিনি পটিয়া হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।

পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাজীব দে জানান, ১৭ ও ১৫ জুন সংগ্রহ করা নমুনার মধ্যে সাত জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, পটিয়ায় ২৫ জুন পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮৫৬ জনের। এর মধ্যে ৭১৩ জনের নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৬৮ জনের। ইতিমধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০০ জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন ১২ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫ জন। এছাড়াও করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো অনেকে, যাদের নমুনা পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়নি।

এদিকে, করোনা সন্দেহে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমাসহ ৮১ জনের দেওয়া নমুনার রিপোর্ট দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আটকে রয়েছে ঢাকায়। নমুনা সংগ্রহের দুই সপ্তাহ পার হলেও রিপোর্ট না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে আরও জানা যায়, পটিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে গত ৭ জুন ২৬ জন ও ৮ জুন ৫৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৮১ জনের নমুনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখানে জট লেগে যাওয়ায় বিআইটিআইডি কর্তৃপক্ষ ঢাকার ল্যাবে পাঠিয়ে দেয় নমুনাগুলো। এরপর এখন পর্যন্ত ওই রিপোর্টগুলো প্রকাশ করা হয়নি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!