চট্টগ্রামের ৭ উপজেলার ৩০ গ্রামে আজ সোমবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র পবিত্র ঈদুল আজহা। একদিন আগে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনকারীদের অধিকাংশই চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার সিলসিলিয়া আলিয়া জাহাগীর পীর দরবার শরিফের অনুসারী।
এরপর ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে আনোয়ারার সরকার হাট এলাকার হযরত লতিফ শাহ’র মাজারসংলগ্ন তৈলারদ্বীপ মসজিদ মাঠে। এছাড়া নির্দিষ্ট মতবাদের অনুসারী এসব গ্রামের বাসিন্দারা সকালে নিজ নিজ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এরপর গ্রামে গ্রামে প্রাণী জবাই করে পালন করা হচ্ছে ঈদুল আজহা।
দক্ষিণ চট্টগ্রামে যেসব গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে সেগুলো হলো- সাতকানিয়া উপজেলার মীর্জারখীল, চরতি, সুঁইপুর, ঘাসিয়াডাঙ্গা, কেরানীহাট, পটিয়া উপজেলার কালারপোল, হাইদগাঁও, মলপাড়া, বাহুলী, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, গাছবাড়িয়া, হারালা, বাইনজুড়ী, কানাইমাদারি, ঢেমশা, আনোয়ারার তৈলার দ্বীপ, বুরুমছড়া, বারখাইন, সরকারহাট, গহিরা, বারশত, বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, পূর্ব গোমদন্ডী, পশ্চিম কধুরখীল। এছাড়া দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, পুঁইয়াছড়া ও ডোমার এবং লোহাগাড়ার ধর্মপুর ও কলাউজান গ্রামে ঈদ পালিত হচ্ছে।
এছাড়াও পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও হ্নীলা বেশ কয়েকটি গ্রামের কিছু লোক একই সময়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
মির্জারখীল দরবার শরীফ সূত্রমতে জানা যায়, প্রায় দশ বছর আগে পীরসাহেব তার মুরিদদের নির্দেশ দিয়েছিলেন সৌদি আরবে যেদিন চাঁদ দেখা যাবে পরদিন থেকেই বিশ্বের সবখানে রোজা পালন শুরু হবে। একই নিয়মে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহাও পালন করতে হবে।
এরপর থেকেই চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা সৌদি আরবের রীতি অনুসারে রোজা ও দুটি ঈদ পালন চলে আসছে।
চন্দনাইশের কাঞ্চননগর গ্রামের আবুল হোসেন বলেন,”দরবার শরীফের পীর সাহেবের নির্দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ পড়ে কোরবানি দিয়েছি।”
রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::