দক্ষিণ আফ্রিকাকে টানা তৃতীয় হারের স্বাদ দিল ভারত

রোহিতের সেঞ্চুরি

সবার শেষে বিশ্বকাপ শুরু করলেও নিজেদের ফেভারিট তকমা নিয়ে প্রশ্ন করার কোন সুযোগই দেয়নি ভারত। বোলারদের সৌজন্যে সাউথ আফ্রিকাকে ২২৭ রানে আটকে রেখেছিল ভারত। বাকী কাজটা সারলেন রোহিত শর্মা। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে ৬ উইকেটের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে বিরাট কোহলির দল। আর হারের হ্যাটট্রিক করে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় সাউথ আফ্রিকা।

ভারতের প্রথম ম্যাচ হলেও এটা ছিল প্রোটিয়াদের তৃতীয় ম্যাচ। যদিও প্রথম দু’ম্যাচের স্মৃতি মোটেও সুখকর নয় ডু প্লেসিসের দলের। বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের কাছে হেরে শুরু করে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিটরা। তৃতীয় ম্যাচে এসেও ছবিটা পাল্টায়নি।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে টানা তৃতীয় হারের স্বাদ দিল ভারত 1
রোহিতের শতকে সহজে পথ পাড়ি দেয় ভারত

রোহিত শর্মার দুর্দান্ত শতরানের সুবাদে ভারত ৪৭.৩ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৩০ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।

টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সাউথ আফ্রিকা। তাদের ইনিংসের শুরুটা মনে রাখার মতো হয়নি। ৬ ওভারে মাত্র ২৪ রানে দুই ওপেনারকে হারায় তারা। চতুর্থ ওভারেই হাশিম আমলাকে (৬) ড্রেসিংরুমের রাস্তা দেখান বুমরাহ। ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে অপর ওপেনার কুইন্টন ডি’কককেও (১০) আউট করেন বুমরাহ।

প্রথম স্পেলে ৫ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে দুই ওপেনারকে তুলে নেন ভারতীয় পেসার। বুমরাহ’র প্রথম স্পেলের পর প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখেন লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল। চার প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানকে ড্রেসিংরুমে ফেরান তিনি। ১০ ওভারে ৫২ রান দিয়ে চারটি উইকেট তুলে নেন চাহাল।

নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৭ রান তোলে সাউথ আফ্রিকা। প্রোটিয়া ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর ক্রিস মরিসের। ৩২ বলে একটি বাউন্ডারি ও দু’টি ওভার বাউন্ডারিতে ৪২ রান করেন তিনি। ৩৫ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন কাগিসো রাবাদা। এছাড়া ডু’প্লেসিস ৩৮, ডেভিড মিলার ৩১ এবং ফেলুকোয়ও ৩৪ রান করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ২২৭/৯ (আমলা ৬, ডি কক ১০, দু প্লেসি ৩৮, ফন ডার ডাসেন ২২, মিলার ৩১, দুমিনি ৩, ফেলুকোয়ায়ো ৩৪, মরিস ৪২, রাবাদা ৩১*, তাহির ০; ভুবনেশ্বর ২/৪৪, বুমরাহ ২/৩৫, কুলদীপ ১/৪৬, চেহেল ৪/৫১)
ভারত: ৪৭.৩ ওভারে ২৩০/৪ (ধাওয়ান ৮, রোহিত ১২২*, কোহলি ১৮, রাহুল ২৬, ধোনি ৩৪, হার্দিক ১৫*, রাবাদা ২/৩৯, মরিস ১/৩৬, ফেলুকোয়ায়ো ১/৪০)
ফল: ৬ উইকেটে জয়ী ভারত
ম্যাচসেরা: রোহিত শর্মা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত শুরুতেই শেখর ধাওয়ানের উইকেট হারিয়ে বসে। ৮ রান করে রাবাদার বলে ডি’ককের হাতে ধরা পড়েন ধাওয়ান। বিরাট কোহলি ১৮ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেননি। ভারত অধিনায়ককে ফেরত পাঠান ফেলুকোয়ও। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে লোকেশ রাহুল ২৬ রান করে রাবাদার দ্বিতীয় শিকার হন। ফেরার আগে অবশ্য রোহিতের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটের জুটিতে ৮৫ রান যোগ করেন রাহুল।

এরপর ধোনির সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারতকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যান রোহিত। ১০টি চার ও ২টি ছক্কায় ১২৮ বলে ক্যারিয়ারের ২৩তম ওয়ানডে শতরান পূর্ণ করেন তিনি। মরিসের বলে ধোনি আউট হন ৩৪ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলে। হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয় এনে দেন রোহিত। ১৩টি চার ও ২টি ছক্কায় শেষ পর্যন্ত ১৪৪ বলে ১২২ রান করে অপরাজিত থাকেন। পান্ডিয়া ৭ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। অসাধারণ সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচসেরা রোহিত।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!