থিয়েটার ইন্সটিটিউট হলো ‘থযেটাব’, কীভাবে জানা নেই কর্তৃপক্ষের!

দীর্ঘদিনের নির্বাসিত চট্টগ্রামের সংস্কৃতি চর্চায় গেলো এক বছর আগে নতুন মাত্রা যোগ করে থিয়েটার ইন্সটিটিউট। ভারত সরকারের সহায়তায় ২ কোটি ৩ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৬ টাকা ব্যয়ে আধুনিকায়নের কাজ শেষে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারিতে উদ্বোধন হয় টিআইসি। কিন্তু অবকাঠামো উন্নয়নের নামফলক এক বছর হতে না হতেই হঠাৎ হয়ে গেলো ‘থযেটাব’। কীভাবে, কখন, কেমন করে থিয়েটার ইন্সটিটিউটের নাম বদলে থযেটাব হলো জানা নেই কর্তৃপক্ষের।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তমঞ্চের এক কোনায় নাম ফলকে লেখা আছে নব আঙ্গিকে নবযাত্রা থযেটাব ইন্সটিটিউট। অর্থাৎ থিয়েটার নামের ‘থ’ এর আগের ই-কার, ‘য়’ এর যায়গায় ‘য’ এবং র এর জায়গায় ব লেখা রয়েছে। আর যা সম্পর্কে খোদ কর্তৃপক্ষের জানা নেই। তবে প্রথম দিকে জানা নেই বললেও থিয়েটার ইন্সটিটিউটের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর আহমেদ ইকবাল হায়দার পরবর্তীতে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেন নাম ফলকের প্রিন্টিং মুছে গিয়ে থিয়েটারের নাম এমন উদ্ভট ‘থযেটাব’ হয়ে যায়। এদিকে এ নিয়েই তোলপাড় শুরু সংস্কৃতি কর্মীদের মনে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন কতটা অবহেলা নিয়ে কাজ করলে এক বছরের মাথায় নামফলকও নষ্ট হয়ে যায়।

এদিকে, এ ব্যাপারে থিয়েটার ইন্সটিটিউটের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর আহমেদ ইকবাল হায়দার বলেন, ‘ কিসের? কোন জায়গায়? ও আচ্ছা আমি তো জানি না। এমনিতে ওটা নষ্ট হয়ে গেছে ঠিক করতে হবে। আমি দেখবো। নিশ্চয়ই দেখবো। এখনই দেখবো। ‘

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সংস্কৃতি কর্মী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ কি বলবো আর বলেন! সব জায়গায় দুই নাম্বারি জিনিসের ছড়াছড়ি। আবার এতে কারো নজরও নাই। নইলে এমন হয় কেমনে আর কর্তৃপক্ষও জানেন না। সারাদিনই তো এ মুক্তাঙ্গন ঘিরে থাকেন তারা। কতশত প্রোগ্রাম হয় কারও চোখেই পড়েনি এ কেমন কথা।’

একই প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু বলেন, ‘এমনটা হবার কথা না কারণ হায়দার ভাই থিয়েটারের মানুষ। আরেকবার দেখা উচিৎ কেন এমনটা হলো। আমি আমার থিয়েটারকে কখনো এভাবে দেখতে চাই না।’

পরবর্তীতে নাম বিভ্রান্তির ব্যাপার নিশ্চিত হয়ে আহমেদ ইকবাল হায়দার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এখন দেখলাম। ফাইল খুঁজে আগের তোলা ছবির সাথে মিলিয়ে দেখেছি। আগে ঠিক ছিল। এখন ই কার মুছে গেছে। ‘য়’ এর বিন্দু এবং ‘র’ এর বিন্দু মুছে গেছে। ‘

কীভাবে মুছে গেলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটাতো প্রিন্টের, মুছে গেছে কোনোভাবে। দুই নাম্বার জিনিস দিয়েছে আরকি। আসলে ডিজাইনটা করেছে বিশ্বজিৎ পারা পাত্র। উদ্বোধনের ছবির সাথে মিলিয়ে দেখলাম। কীভাবে এমন হলো চোখে পড়ে নাই। এমনিতেই ঠিক করতে হবে। থ্যাংক ইউ। আমি কালকের মধ্যেই ঠিক করে দিবো।’

এসআর/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!