থার্টি ফাস্ট’ কোন আয়োজন নেই, তবুও পর্যটকদের ভীড় কক্সবাজারে

এবার থার্টি ফার্স্ট নাইটের কোনও ধরণের আয়োজন নেই। তবুও ছুটি কাটাতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ছুটছেন হাজার হাজার পর্যটক। ইতোমধ্যে সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্টে বুকিং হয়ে গেছে। আর থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছে টুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানতে পর্যটকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ জেলা প্রশাসনের।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় জানাতে প্রতিবছর ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যটক। তাই সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টকে সাজানো হয়েছে নতুন সাজে।

প্রতিবছর ইংরেজি পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যানার-ফেস্টুনে সাজানো হয় সব হোটেল ও মোটেল। কিন্তু এবার তেমনটা চোখে পড়ছে না। তবে হোটেল-মোটেলে রুম বুকিং বেড়েছে।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, রিজার্ভেশনের পরিমাণ খুবই ভাল। এর মধ্যেই বেশিরভাগ বুকিং হয়ে গেছে।

থার্টি ফার্স্ট নাইট কেন্দ্র করে প্রতি বছর তারকামানের হোটেলগুলোতে থাকে নানা আয়োজন। কিন্তু করোনার কারণে এবার কোনও আয়োজন নেই বলে জানালেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।

তারা জানান, এ বছরটা একেবারেই ভিন্ন। তবে আগামী বছর মহামারি কাটিয়ে একটি সুন্দর বছর পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন তারা।

পর্যটকদের আগমনকে ঘিরে নতুন করে নিরাপত্তার বলয়ে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে টুরিস্ট পুলিশ। আর করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানতে পর্যটকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ জেলা প্রশাসনের।

কক্সবাজারের টুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান বলেন, কলাতলী থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস পয়েন্ট পর্যন্ত আমাদের বাহিনী থাকবে। মোবাইল টিম ও রেসকিউ টিমও নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আল আমিন পারভেজ বলেন, মানুষকে সচেতন হয়ে চলতে হবে। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে।

এদিকে, পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করতে সৈকত শহর কক্সবাজারে দুই লাখের অধিক পর্যটকের আগমন হতে পারে বলে মনে করছে টুরিস্ট পুলিশ এবং পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!