অনিয়ম-দুর্নীতি কক্সবাজার সদর খাদ্য গুদামে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাদ্যগুদামের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকার এক চাল ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট।
কয়েকদিন আগে লিংকরোড এলাকার সাগর কোল্ড স্টোরেজকে খাদ্যপণ্য মজুদের অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে সদর খাদ্য গুদামে অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা। এরূপ একাধিক অভিযান ও জরিমানার পরও থামছে না খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা-কর্চারীদের অনিয়ম-দুর্নীতি।
অভিযানে ৫০ ও ৩০ কেজি চাউলের বস্তা একসাথে রাখার কারণে এবং অনিয়মের জন্য আটক করা হয় গুদামের কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন ও দারোয়ান রিদুয়ান আলীকে।
অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যান উপ-খাদ্য পরিদর্শক কামরুল ইসলাম। পরে গুদামটি সিলগালা করে দেয়া হয়।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম মাহফুজুর রহমান বলেন, ৫০ ও ৩০ কেজির চাউলের বস্তা একসাথে রাখার কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দুইজনকে আটক করেছে র্যালব।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দেবদাস চাকমা বলেন, বস্তায় অনিয়মের অভিযোগে ২ জনকে আটক করা হয়েছে শুনেছি। তবে জালিয়াতির ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে র্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সদর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাসহ আটক ২ জনকে র্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদি এদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার মোক্তারের নেতৃত্বে এক অভিযানে ২ শ্রমিককে আটক ও সিলগালা করা হয় ৫ নম্বর গুদামটি।
সিআর