থানা পুলিশের দায়মুক্তি, পিবিআইয়ের কাছে খুনীর স্বীকারোক্তি

পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পর পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে খুনের রহস্য। মঙ্গলবার আদালতে খুনের বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্ত সৌরভ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চাচাতো ভাইদের সঙ্গে জায়গা-জমির বিরোধে কর্ণফুলী থানাধীন চরপাথরঘাটায় খুন হয়েছিলেন আলমগীর। খুনের পর (২ জুলাই ২০১৭) স্ত্রী মাহফুজা বেগম বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছিলেন। কিন্তু থানা পুলিশ কাউকে অপরাধী শনাক্ত না করে (১৯ জুলাই ২০১৮) চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন। এরপর বাদি আদালেতে নারাজি আবেদন করেন, এর প্রেক্ষিতে (২৮ অক্টোবর ২০১৮) আদালত এ মামলার অধিকতর তদন্তের ভার প্রদান করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসে, নিহত আলমগীর চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন আলমগীর। সেই ডায়েরিতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচাতো ভাই নুরুল আবছার তার ছেলে নকিবুল হক সৌরভ, ভাই সজীব ও সেকান্দরকে নিয়ে আলমগীরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১ জুলাই ২০১৭ দিবাগত রাত দুইটার পর মেরে আহত করেন আলমগীরকে। আহতাবস্থায় আলমগীরকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পাশ্ববর্তী খাল পাড়ে ফেলে আসেন।

মামলার তদন্তে সৌরভের সম্পৃক্ততা পেয়ে তাকে কক্সবাজারের বার্মিজ মার্কেট থেকে পিবিআইয়ের টিম গ্রেপ্তার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৌরভ আলমগীর হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা নকিবুল হক সৌরভকে কক্সবাজার সদরের বার্মিজ মার্কেট থেকে গ্রেপ্তার করেছি। সৌরভ ওই মামলার এজহারভুক্ত আসামি এবং অপর আসামি নুরুল আবছারের ছেলে। সৌরভসহ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ ও তথ্যাদি আমরা পেয়েছি।’

তিনি আরো জানান, ‘চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে আসামিগণ পরস্পর যোগসাজশে সু-পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম আলমগীরকে গভীর রাতে গাছের বাটাম দ্বারা মারাত্মকভাবে আঘাত করে। এরপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর বাড়ির অদূরে ঝোপের মধ্যে লাশ গুম করে রেখেছিল। আমরা মামলার অপরাপর আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে আসামি সৌরভ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান তদন্ত কর্মকর্তা ফিরোজ চৌধুরী।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!