ত্রিপুরা পাড়া বদলে দিয়ে ‘জনপ্রশাসন পদক’ পেল হাটহাজারী

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে অবস্থিত মনাই ত্রিপুরা পাড়াকে আমূল বদলে দিয়ে ‘জনপ্রশাসন পদক’ পেল হাটহাজারীর ইউএনও কার্যালয়।

মনাই ত্রিপুরা পাড়ায় মডেল উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করায় হাটহাজারীর ইউএনও কার্যালয় এই পদকের জন্য জেলা পর্যায়ে সাধারণ (প্রাতিষ্ঠানিক) ক্যাটাগরিতে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছে।

শনিবার (২৪ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কেএম আলী আজম স্বাক্ষরিত এক উপ-আনুষ্ঠানিক (ডিও) চিঠিতে পদকের জন্য মনোনীত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।

হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ের পাদদেশে মনাই ত্রিপুরা পাড়া অবস্থিত। চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরের এই এলাকাটি একসময় ছিল অবহেলিত। ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর বাসিন্দারা দিন কাটাতেন অভাব-অনটন-দুর্ভোগে।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পাড়াটি বদলে যেতে শুরু করে। ওই সময় থেকে সেখানে একের পর এক গড়ে উঠতে থাকে দুই কিলোমিটারব্যাপি রাস্তা, বিদ্যালয়, টিউবওয়েল, শৌচাগার স্থাপন, খেলার মাঠ, মন্দিরসহ আরও নানা অবকাঠামো। সৌর বিদ্যুতের পাশাপাশি সংযোগ দেওয়া হয় পল্লী বিদ্যুতের। পূজায় মেলে সরকারি বরাদ্দ। স্কুলগুলোতে দেওয়া হয় খেলার উপকরণ ও শিক্ষা উপকরণ। স্কুলের পাশাপাশি চলে মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমও। ২০১৯ সাল থেকে টানা তিন বছর ধরে এই পাড়ার শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাবৃত্তি’।

এছাড়া ওই পাড়ায় পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে থাকা ১২টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে ‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা শীর্ষক কর্মসূচি’র আওতায় পাকা ঘরও তৈরি করে দেওয়া হয়।

হাটহাজারী থেকে সদ্য বদলি হয়ে চা বোর্ডের উপ-সচিব পদে যোগ দেওয়া ইউএনও রুহুল আমিনের তত্ত্বাবধানে মনাই ত্রিপুরা পাড়ায় ‘আমার জেলা আমার শহর’ মডেল উদ্যোগ বাস্তবায়নের এসব কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জনপ্রশাসন পদক তুলে দেওয়া হবে মনোনীতদের হাতে। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!