তৌহিদ হৃদয়ের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে যুব দলের সিরিজ জয়
তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে যে রীতিমত রানের ফোয়ারা ছুটছে। টানা দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির সঙ্গে বাংলাদেশকে সিরিজ জয়ও এনে দিয়েছেন ১৮ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। চট্টগ্রামে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে চলতি এই সিরিজে হৃদয় দুর্দান্ত ব্যাটিং করছেন। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটি পরিত্যক্ত হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে হৃদয় করেছিলেন অপরাজিত ৮২। তৃতীয় ম্যাচে তার উইলো থেকে আসে হার না মানা ১২৩ রানের ইনিংস। এবার করলেন ১১৫। এতে করে বাংলাদেশের হয়ে যুব ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েছেন বগুড়ার এই তরুণ।
রোববার (১৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৬০ রানের বড় পুঁজিই গড়েছিল শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দল। লঙ্কান দলের প্রথম আট ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের কোটা পেরিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশের বোলাররা একজনকেও ফিফটি ছুঁতে দেননি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংসটি আসে সোনাল দিনুসার ব্যাট থেকে, ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। ৫৪ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন তিনি। ১টি করে উইকেট শিকার শামীম হোসেন আর রাকিবুল হাসানের।
জবাবে ৬৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে তৌহিদ হৃদয় দলকে কোনো বিপদে পড়তে দেননি। প্রথমে চতুর্থ উইকেটে শাহাদাত হোসেনের (২৩) সঙ্গে ৬২ এবং পরে পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক আকবর আলীর সঙ্গে ১১০ রানের বড় জুটি গড়ে ম্যাচটা হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন তিনি।
১২০ বলে ৯ বাউন্ডারি আর ৩ ছ্ক্কায় ১১৫ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে হৃদয় যখন সাজঘরে ফিরেছেন, জয় থেকে তখন মাত্র ২০ রান দূরে বাংলাদেশ। বাকি কাজটা সেরেছেন আকবর আর শামিম হোসেন। আকবর আলী ৬৬ আর শামিম ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৬ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
ম্যাচ সেরা তৌহিদ হৃদয়ের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিজেকেএস ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু হাসান ছিদ্দিক। এই সময় সিজেকেএস ক্রিকেট কমিটির সম্পাদক আব্দুল হান্নান আকবর ও ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে আগামী মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।