তৌহিদ হৃদয়ের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কা যুবদলকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়, আকবর আলীর হাতে দায়িত্ব আসার আগে ছিলেন দলের অধিনায়কও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে এসে তৌহিদ তুলে নেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে পঞ্চম ওয়ানডে শতক। অনূর্ধ্ব-১৯ বাংলাদেশ দলে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি এখন এই সম্ভাবনাময়ী ব্যাটসম্যানের। আর তাতে করে বাংলাদেশ যুবাদের সামনে বলতে গেলে একপ্রকার উড়েই গেল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের করা ৩৪০ রানের জবাবে লঙ্কানরা গুটিয়ে যায় ১৭৯ রানেই। বাংলাদেশ জয় পায় ১৬১ রানের বড় ব্যবধানে।

মাত্র কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কায় সিরিজ খেলে এসেছিল বাংলাদেশ। সেখানে ডাম্বুলায় শেষ ম্যাচে হেরে সিরিজ খুঁয়েছিল বাংলাদেশ। ফিরতি সিরিজে শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে সিরিজ ও সম্মান উদ্ধারে এই পর্যন্ত পূর্ণ মার্কস পেল বাংলাদেশের যুবারা। ওয়ানডে সিরিজ শুরু হয়েছিল খুলনায়। সেখানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে প্রথম ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পাওয়ায় ১-০তে এগিয়ে থেকে চট্টগ্রামে আসে বাকি তিনটি ম্যাচ খেলতে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় শ্রীলঙ্কা। ১৭ রানে চট্টগ্রামের ছেলে পারভেজ হাসানকে হারানোর পর জুটি গড়েন তামিম ও জয়। এদুজন দলের রানকে নিয়ে যান ৯৬-তে। ৫৩ বলে ৫ চার আর ১ ছয়ে ৬০ রান করা তামিম আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

তামিমের পর উইকেটে আসেন তৌহিদ হৃদয়। তখনো ইনিংসের বাকি প্রায় ৩৫ ওভার। উইকেটের অন্যপ্রান্তে জয় (৫২ রান), আকবর আলী (৫২ রান), শামীম (২১ রান), দিপু (৬ রান) নিয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেও একপ্রান্তে উইকেট আগলে রেখে দলের রানকে নিয়ে যান লঙ্কানদের ধরাছোয়ার বাইরে। আর তাতে করে বাংলাদেশের রান যখন ৩৪০ রানে গিয়ে থামে তখন তৌহিদের নামের পাশে ঝলমল করছে অপরাজিত ১২৩ রান। ৯৮ বলের তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮টি চার ও আধা ডজন ছয়ে। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন দিলশান মাধুশঙ্কা ও কাভিন্দু নাদিসান।

৩৪১ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৩১.১ ওভারে ১৭৯ রানেই সবকটি উইকেট হারায় সফরকারীরা। শুরু থেকে অবশ্য বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন দুই লঙ্কান ওপেনার মোহাম্মদ শামাজ এবং পারানাভিতারানা। ৫.৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৬৪ রান তোলার পর বিদায় নেন সামাজ। তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। সামাজের বিদায়ের পরেই ঘটে ছন্দপতন। মিডল অর্ডারে নামা অভিষেক পেরেরা ৩২ বলে ৩০ রানের ইনিংস না খেললে আরও কম রানে আউট হতো সফরকারীরা। বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল এবং সাকিব নেন ২টি করে উইকেট।

ম্যাচ সেরা তৌহিদ হৃদয়ের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিসিবি মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব আলী আব্বাস। এই সময় ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসানও উপস্থিত ছিলেন। ২-০তে এগিয়ে থেকে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে দুই দল মুখোমুখি হবে আগামী রোববার (১৭ নভেম্বর)।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!