তেল কোম্পানির এক চাকরিতেই হাজার কোটি টাকার সম্পদ সেলিমের

চট্টগ্রামে ৩ বাড়ি, ঢাকায় ১৬ ফ্ল্যাট, অস্ট্রেলিয়ায় ‘সেকেন্ড হোম’

নিজের নিয়োগই হয়েছিল জালিয়াতির মাধ্যমে। এরপর থেকে জালিয়াতি ও দুর্নীতি তার পিছু ছাড়েনি। টানা ২২ বছর ধরে দুর্নীতিকে সম্বল করে মালিক হয়েছেন হাজার কোটি টাকার। যেখানেই গেছেন, তার বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর সব দুর্নীতির অভিযোগ। এভাবে চট্টগ্রামে অন্তত তিনটি বিলাসবহুল বাড়ি ছাড়াও কেবল ঢাকাতেই কিনেছেন ১৬টি ফ্ল্যাট। অস্ট্রেলিয়ায় এক বন্ধুর মাধ্যমে পাচার করেছেন প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।

এমন গুণধর ব্যক্তিটি হলেন এটিএম সেলিম। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) হিসাব বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তিনি।

তার এমন সব দুর্নীতির কথা উঠে এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দেওয়া অভিযোগের সূত্র ধরে। গত ২৪ আগষ্ট (বুধবার) দুদকে এটিএম সেলিমের দুর্নীতির বিবরণ তুলে ধরে ওই অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিপিসির মহাব্যবস্থাপক এটিএম সেলিম চট্টগ্রামের ফয়’স লেক আবাসিক এলাকায় ছয়তলা ভবনের মালিক হয়েছেন। হয়েছেন চান্দগাঁও থানার খালাসী লেক ও চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় চার ইউনিটের ছয় তলা বিশিষ্ট আরও দুটি ভবনের মালিক। নগরীর চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে নামে বেনামে একাধিক দোকান।

শুধু চট্টগ্রামেই নয়, দুর্নীতির টাকায় এটিএম সেলিমের সম্পদের সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকাতেও। ঢাকার অভিজাত এলাকা বনানী ৯/এ তে, গুলশান ২ এর ৪২ নম্বর রোডে, গুলশান ১ এর ২৩ নম্বর রোডে, ধানমন্ডি ২৭ নম্বরসহ বাড্ডা ও বারিধারাতে একাধিক ফ্ল্যাট কিনেছেন এটিএম সেলিম। নামে বেনামে কেনা এসব ফ্ল্যাটের সংখ্যা কমপক্ষে ১৬টি। এসব ফ্ল্যাটের বাজারমূল্য কয়েকশত কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে বনানীর ফ্ল্যাটটি তিনি প্রায় ২৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায় বন্ধু আবদুল করিমের কাছে টাকা পাচার করে কিনেছেন বাড়ি। এমনকি সেখানে গড়ে তুলেছেন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও।

চাকরিই হয়েছিল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে

দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, বর্তমান মহাব্যবস্থাপক এটিএম সেলিমের বিপিসিতে চাকরিই হয়েছিল জালিয়াতির মাধ্যমে। ১৯৯৯ সালে ৪ জন সহকারী ব্যবস্থাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিপিসি। নিয়োগ বোর্ড হিসাব বিভাগে কাজী শহীদুর রহমান, বাণিজ্য বিভাগে আবুল কালাম আজাদ, এমআইএস বিভাগে মো. সোয়েব আহমেদকে এবং পরিকল্পনা বিভাগে মনিরুল ইসলামকে নিয়োগ দেয়। নিয়োগ পাওয়ার তিন মাসের মাথায় মনিরুল ইসলাম বিপিসির চাকরি ছেড়ে আগের কর্মস্থল সিলেট গ্যাস ফিল্ডে যোগ দেন। এতে সহকারী ব্যবস্থাপকের একটি পদ শূন্য হয়ে পড়ে। তখন বিপিসির কম্পানি সচিব ছিলেন এটিএম সেলিমের চাচা কামাল উদ্দিন। এই চাচা নিয়মনীতি না মেনেই, এমনকি নিয়োগ বোর্ড কিংবা প্যানেল ছাড়াই কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে জালিয়াতির মাধ্যমে শূন্য হয়ে পড়া সহকারী ব্যবস্থাপক পদে ভাতিজা এটিএম সেলিমকে নিয়োগ দেন।

মংলা অয়েল ইনস্টলেশন প্রকল্পে বড় দুর্নীতি

মংলা অয়েল ইনস্টলেশন প্রকল্পে দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে পরতে পরতে। এই প্রকল্পটি এটিএম সেলিমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়ন হয়। ঠিকাদারের বিলসহ সব পেমেন্ট দেওয়া হয় বিপিসির হিসাব বিভাগ থেকে। প্রকল্পের শুরুতেই শূন্য শতাংশ অগ্রগতিকে ৫০ শতাংশ অগ্রগতি দেখিয়ে ম্যাক্সওয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস ও পাইপলাইন লিমিটেডকে বিল দেওয়ার মতো জালিয়াতি উঠে আসে অডিট রিপোর্টে। প্রকল্পটির সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (আরডিপিপি) অনুমোদিত ব্যয় ছিল ২০৫ কোটি ৪৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এর বিপরীতে খরচ করা হয়েছে ২০৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এ কারণে অডিট প্রতিষ্ঠান খান ওয়াহাব শফিক রহমান এন্ড কম্পানি ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আপত্তি দিয়ে রাখে। প্রকল্পটির বেশ কিছু ভাউচারের হদিসও পায়নি অডিটর। ভাউচারের বিষয়ে অডিট প্রতিষ্ঠান আপত্তি উত্থাপন করলে প্রকল্প পরিচালক (মোছাদ্দেক হোসেন) তার বক্তব্যে বলেছেন বিপিসির হিসাব বিভাগ থেকে বিল দেওয়া হয়। তাই সেসব বিপিসির কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। পরে হিসাব বিভাগেও ভাউচার খুঁজে পায়নি অডিট প্রতিষ্ঠান।

এদিকে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার বছর না পার হতেই অফিস ও আবাসিক ভবনের প্লাস্টারে জমেছে শ্যাওলা। বেশ কয়েকটি ভবনের বারান্দায় ধরেছে ফাটল। সিঁড়ির রেলিংয়ে স্টেইনলেস স্টিল দেওয়ার কথা থাকলে তা দেওয়া হয়নি, ফলে মরিচা ধরে বিবর্ণ আকার ধারণ করেছে রেলিং। এমন সব বেপরোয়া দুর্নীতির মূলে আছেন এটিএম সেলিম।

ইস্টার্ন রিফাইনারিতে হরিলুট

দুদকে দেওয়া অভিযোগে আরও বলা হয়, বিপিসির অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের এসপিএম (সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং) প্রকল্পে জমি অধিযাচনে দুর্নীতি ও লুটপাটের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। ধান ক্ষেতের একরপ্রতি মূল্য ৩ লাখ, আর পানের বরজের মূল্য ৬৩ লাখ নির্ধারণ করে জমি অধিযাচনের সিদ্ধান্ত হয়। অথচ এসপিএম প্রকল্পে যারা এটিএম সেলিমকে টাকা দিয়েছেন তাদের ধানক্ষেতকে দেখানো হয়েছে পানের বরজ, আবার যারা টাকা দেননি তাদের পানের বরজকে ধানক্ষেত দেখানো হয়েছে। এখানে প্রায় ৯৬ লাখ ৬০ হাজার ১৫০ টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে খোদ দুদক।

২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘুষের টাকা ভাগাভাগির সময় ৬৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫০ টাকাসহ ১ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সেই সূত্র ধরেই এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানে দুর্নীতির ঘটনা ওঠে আসে। যদিও এর মূল হোতা এটি এম সেলিম বরাবরের মতোই রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

দুর্নীতিতে ৩০০ কোটির ‘ক্ষতি’ স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিকে

জানা গেছে, বিপিসির রন্ধে রন্ধে ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতি বন্ধে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া থামিয়ে রেখেছে এটিএম সেলিম চক্র। অটোমেশন হলে দুর্নীতি ও লুটপাট অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যেতো। বিশেষ করে তেল বিক্রি ও মজুদ মাউসের এক ক্লিকেই দেখা যেতো। আর এতে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার মতো বিপিসির অধীনস্থ কম্পানিগুলো ব্যাংকে টাকা ফেলে রেখে ব্যক্তিগত সুবিধা নিতে পারতো না।

স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েলে এই ধরনের একটি বড় দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। বিপিসি ওই কম্পানিটির শেয়ারহোল্ডার। আর বিপিসির পক্ষ থেকে তদারকি করতেন এটিএম সেলিম নিজে। স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েলে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা লোকসান হয় টাকা নির্ধরিত সময়ে আদায় না করায়। ওই ঘটনায় মামলা হলেও মূল হোতা এটিএম সেলিম রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

ফয়’স লেকে বিলাসবহুল ছয়তলা বাড়ি

চট্টগ্রামের ৯ নম্বর উত্তর পাড়াহতলী ফয়েস লেক আবাসিক এলাকার হাজী আবদুল হামিদ রোডে ছয় তলা ভবনে (২/এ) স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকেন এটিএম সেলিম। সাত কাঠা জমির ওপর নির্মিত মনোরম ডিজাইনের ওই বাড়িটির নাম রাখা হয়েছে ‘জ্যোৎস্না’। অন্যান্য দুর্নীতিবাজদের মতোই এটিএম সেলিমও বাড়িটি শ্বশুরের বলে প্রচার করে থাকেন। আর ভবনের নাম রেখেছেন শাশুড়ির নামে। প্রকৃতপক্ষে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করা টাকায় নির্মিত বাড়িটি হালাল করার জন্যই এই কৌশল নিয়েছেন এটিএম সেলিম। দুদকের অভিযোগের সূত্র ধরে সরজমিন অনুসন্ধানে গেলে এ ঘটনার সত্যতাও মিলেছে।

২ বাড়ি চান্দগাঁও-খালাসি লেকে

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁন্দগাও আবাসিক ও খালাসি লেক এলাকায় এটিএম সেলিম গড়ে তুলেছেন বিলাসবহুল দুটি বাড়ি। ৪ ইউনিটের ৬ তলার বাড়ি দুটির জায়গাও কিনেছেন এটিএম সেলিম। বাড়িসহ ওই জমির মূল্য প্রায় শতকোটি টাকা। যা এটিএম সেলিমের আয়ের সঙ্গে মোটেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সরেজমিন অনুসন্ধানে এ বিষয়টিরও সত্যতা পাওয়া গেছে।

কোটি টাকার দোকান চকবাজারে

চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারের একটি মার্কেটে ইডিইএস নামের একটি কাপড়ের দোকান (দ্বিতীয় তলায় দোকান নম্বর ২২) রয়েছে এটি এম সেলিমের। যেটি তার স্ত্রী ও আপন ছোট ভাই দেখাশোনা করেন। ওই দোকানের বর্তমান মূল্য কোটি টাকারও বেশি। অনুসন্ধানে এ বিষয়টিরও সত্যতা মিলেছে।

ঢাকা-চট্টগ্রামে বিপুল সম্পদ

চট্টগ্রামেই শুধু নয়, বিপিসির মহাব্যবস্থাপক এটিএম সেলিম রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা বনানী ৯/এ তে, গুলশান ২ এর ৪২ নম্বর রোডে, গুলশান ১ এর ২৩ নম্বর রোডে, ধানমন্ডি ২৭ নম্বরসহ বাড্ডা ও বারিধারাতে একাধিক ফ্ল্যাট কিনেছেন। নামে ও বেনামে কেনা এসব ফ্ল্যাটের সংখ্যা কমপক্ষে ১৬টি। যেগুলোর বাজার মূল্য কয়েকশত কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে বনানীর ফ্ল্যাটটি তিনি প্রায় ২৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন।

এছাড়া চট্টগ্রামের হালিশহর, জিইসি মোড়, বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট ও জায়গা কিনে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এটিএম সেলিম। যা কোনভাবেই তার বৈধ আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

টাকা পাচার করে অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম’

বিপিসির মহাব্যবস্থাপক এটিএম সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। সেখানে তার বন্ধু আবদুল করিমের মাধ্যমে বাড়ি কিনেছেন তিনি। পাচারের টাকায় সেখানে গড়ে তুলেছেন ‘সেকেন্ড হোমে’র পাশাপাশি আইটি প্রতিষ্ঠানও। চাকরি ছাড়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তিনি— সূত্রে এমন তথ্য মিলেছে।

পারিবারিক কাজে অফিসের গাড়ি

এটিএম সেলিমের অফিসের গাড়িটি সারাদিনই ব্যবহৃত হচ্ছে পারিবারিক কাজে। সকালে তাকে অফিসে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় ছেলেমেয়েকে স্কুলে আনা নেওয়ার জন্য। করোনায় স্কুল বন্ধকালীন টিউশনি ও মেয়েকে সাঁতার শেখানোর জন্য আনা-নেওয়ায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে বিপিসির গাড়িটি। নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েটি কখনও চট্টগ্রাম ক্লাবে, কখনও র‌্যাডিসন হোটেলে সাঁতার কাটতে যায়। গত ৩ মাস ধরে চলছে সেই রুটিন। মেয়ের সাঁতার শেখার ফাঁকে স্ত্রীকে দোকানে আনা-নেওয়া করতেও এ গাড়ি ব্যবহার করা হয়। গাড়ির মাইল মিটার চেক করলেই এসব ধরা পড়বে— জানিয়েছে বিপিসির একটি সূত্র।

ব্যাংকে হাজার কোটির আমানত, তবু ঋণ

এটি এম সেলিম নিজের পকেট ভারি করতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিপিসিকে ঠেলে দিয়েছেন লোকসানের দিকে। ব্যাংকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আমানত থাকা অবস্থায় (এসএনডি ও এফডিআর) প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন ব্যাংক ঋণ নিয়ে। এতে দেখা গেছে, আমানতের বিপরীতে প্রাপ্ত সুদের চেয়ে ঋণের বিপরীতে পরিশোধিত সুদের পরিমাণ ২৭৮ কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ ঋণ না নিয়ে নিজেদের আমানত থেকে বিপিসির একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে ২৭৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হতো। সবকিছু জেনেও শুধু নিজের মুনাফার ধান্দায় সেই কাজটি করে বিপিসিকে ডুবিয়েছেন সেলিম।

বিপিসির মহাব্যবস্থাপক এটিএম সেলিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে উত্থাপিত বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া মেলেনি। এমনকি পরে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমেও বিস্তারিত বিষয় উল্লেখ করে তাকে অবহিত করা হয়, তবে সেই বার্তারও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!