তুষারের কথার জাদুতে মাতলো দৃষ্টির অনলাইন আড্ডা

বাংলা ভাষার জন্য আমরা প্রাণ দিয়েছি। বিশ্বের আর কোন দেশের মানুষের এমন উদাহরণ নেই। তাই আনুষ্ঠানিক যে কোন জায়গায় প্রমিত বাংলার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা উচিত। বাংলার মাঝে ইংরেজি বলার কোন সার্থকতা নেই। বিদেশিরা তাদের ভাষার মাঝখানে বাংলা বলেন না। কারণ তারা তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে ভালোবাসেন। আমাদেরও উচিত নিজের ভাষার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা।

ড. আবদুন নুর তুষার শুক্রবার (১২ জুন) রাতে দৃষ্টি চট্টগ্রামের ভার্চুয়াল আড্ডায় এই কথাগুলো বলেন। দৃষ্টি চট্টগ্রাম ও চিটাগাং লাইভের ফেইসবুক পেইজে প্রচারিত এই আড্ডায় বক্তব্য রাখেন আবৃত্তি শিল্পী ও আইনজীবী মিলি চৌধুরী, ব্যাংকার ও প্রাবন্ধিক সাইফ চৌধুরী, চিকিৎসক ও লেখক ডা. আবু সাঈদ শিমুল এবং সংবাদকর্মী ও প্রাক্তন বিতার্কিক মাহফুজ মিশু।

ডা. আবদুন নুর তুষার আরও বলেন, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে সত্য বলতে সাহস লাগে। তোষামোদি ব্যতিরেকে উচিত-অনুচিতের সহজ প্রকাশও প্রায় দুর্লভ। তিনি বলেন, বাংলা ভাষা, বাঙালি সংস্কৃতি— এগুলোও মোটামুটি কৃত্রিমতায় জালে আবদ্ধ এখন।

বিতর্কের প্রতি আপনার ভালোবাসা কিভাবে সৃষ্টি হলো— উপস্থাপকের এই প্রশ্নের উত্তরে আবদুন নুর তুষার বলেন, আমার ছোটবেলা থেকেই বিতর্কের প্রতি আগ্রহ। স্কুলজীবন থেকেই আমি বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলাম। সেই জায়গা থেকেই আমার এই ভালোবাসার সৃষ্টি। আমি বিশ্বাস করি নতুন নতুন ছেলেমেয়েরা যারা বিতর্ক করতে আসবে, তারা কথা বলা শিখবে, যুক্তি দেওয়া শিখবে, বড় চিন্তা করতে শিখবে।

তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ যুক্তি বোঝে না, আইন মানতে চাই না। এই না বোঝার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার একটা যে প্রজন্ম তৈরি করছে বিতর্ক— এইটাই আমাদের সফলতা। গত ৩০ বছর থেকে আমি এই কাজটা ভালোবেসে করে আসছি। ৩০ বছর আগে আমাদের কল্পনায়ও ছিলো না এতো এতো ছেলেমেয়ে বিতর্ক করবে। সারা দেশে বিতর্ক ছড়িয়ে যাবে। তবে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল একটা যুক্তিবোধসম্পন্ন প্রজন্ম তৈরি করার।

দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহের সঞ্চালনায় এই আড্ডায় আরও উপস্থিত ছিলেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুল, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুন্না ও সংগঠনিক সম্পাদক কাজী আরফাত।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!