তিন মাস পর সৌদি আরবে কারফিউ প্রত্যাহার, বন্ধ থাকবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট

করোনাভাইরাসর কারণে টানা তিন মাস পর সৌদি আরবের লকডাউন ও কারফিউ প্রত্যাহার হলো রোববার (২১ জুন) সকালে। ফলে সৌদি আরব আগের মত সাধারণ জনজীবনে ফিরে এলো মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি। দেশটিতে রোববার সকাল থেকে সবধরনের কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এমনটি জানিয়েছে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হবে। তবে হজযাত্রা, আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ও ৫০ জনের বেশি জমায়েতের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকবে।

ফলে দেশটিতে বসবাসরত সৌদিসহ সব দেশের নাগরিকদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য বাহিরে যেতে পারবেন। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেতে হবে। এছাড়াও মক্কা ও জেদ্দাসহ সারাদেশে কারফিউটি তুলে নেওয়া হলো। সমস্ত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম আগের মতো স্বাভাবিক ভাবেই পরিচালিত হবে। তবে এসব ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পৌর, সামাজিক ও পল্লী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আজ (রোববার) থেকে সেলুন ও বিউটি পার্লারগুলো আগের মতো কাজ করতে পারবে। তবে মুখে মাস্ক ও হেন্ড গ্লাভস পরিধান করতে হবে। এছাড়াও পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ওমরা ও আন্তর্জাতিক সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু থাকবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নির্দেশনা গ্রহণের জন্য সৌদিতে বসবাসরত সকল নাগরিকদের জন্য দুইটি এ্যাপস চালু করা হয়েছে। ‘তাবাউদ’ এবং ‘তাওয়াক্কাল্লা’ এই দুইটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে আহ্বান জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় ৫০ জনেরও বেশি লোকের জমায়েত নেওয়া নিষিদ্ধ করলেওে সকল মসজিদে সালাত আদায় করতে পারবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। নিজ জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে এবং সালাত আদায় করে নিয়ে যেতে হবে এবং মুখে মাস্ক অবশ্যই পরিধান করতে হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, যে বা যারা এই প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ লঙ্ঘন করবে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, মে মাসে, চলাচল ও ভ্রমণে বিধিনিষেধ শিথিল করার জন্য সৌদি আরব তিন পর্বের একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করে। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২১ জুন কারফিউ সম্পূর্ণভাবে শেষ হলো। গত ২৮ মে চলাচল ও ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করার পর সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে করোনভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে।

শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি, মারা গেছেন ১ হাজার ২৩০ জন।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!