তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজার ঘিরে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা

তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজারের সমন্বয়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের অবারিত সুযোগ কাজে লাগালে দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আসবে বলে মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ইশতেহারের ১০টির মধ্যে একটি হল বিনিয়োগ বিকাশ ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা। ১০ বছরে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জিডিপি অর্জনে বাংলাদেশের অবস্থান এক নম্বরে। বাংলাদেশের পরের স্থানে রয়েছে ভারত। ২০০৯ সালের বাংলাদেশের চেয়ে ২০১৯ সালের বাংলাদেশ অনেক উন্নত। বিদেশিরা বাংলাদেশের অভূত পরিবর্তন দেখে আবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিভাগীয় কমিশনার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সহায়তা ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে বিভাগীয় পর্যায়ে উন্নয়ন সহায়তা কমিটির মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, দেশের ৯০ ভাগ আমদানি রপ্তানি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়। দেশের পোশাক শিল্প বেশিরভাগ ঢাকায় তৈরি হলেও রপ্তানি হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। বন্দরের সক্ষমতা আরো বহুগুণ বাড়াতে হবে। বিদেশিরা বলে বন্দরে সময় বেশি লাগে। আমদানি রপ্তানিতে বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। ইজি ডুয়িং অব বিজনেস তালিকায় বাংলাদেশ ১৬৮ স্থানে আছে। আমরা ভারতের চেয়ে ১০০ ও পাকিস্তান থেকে ৬০ ধাপ এগিয়ে আছি। আমাদের এই ধারা আরও অনেক কমিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হলে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। আমি ৩-৪ বছর আগে রুয়াণ্ডায় গিয়ে দেখলাম অসম্ভব সুন্দর, গুছানো মাটি টিনের চালের ঘর থাকলেও ওখানে কোথাও এক টুকরো দাগ, ময়লা দেখিনি। স্বাধীনতার পনের বছরের মধ্যে এই উন্নয়ন অবাক করার মতো। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলেও এমন সুন্দর একটি বাংলাদেশ হতো। ঘাতকেরা সে সুন্দর কাজটি হতে দেয়নি।

বিভাগীয় কমিশানার মো. আবদুল মান্নান আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির মূল। চট্টগ্রাম বন্দরের আরও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বন্দর সীবিচ, কর্ণফুলী নদীর নিচে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার টানেল, মাতারবাড়ির কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দরের অ্যাকোয়ার মিরসরাই থেকে চকরিয়া পেকুয়া হয়ে লাবণী পয়েন্টে মিলিত হবে। কক্সবাজার বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজ চলছে। প্রস্তাবিত রেলষ্টেশন হবে ঝিনুকের মতো নকশা করে। যানজট নিরসনে অ্যাকোয়ার বে-টার্মিনালসহ নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্প শেষ হলে চট্টগ্রামের চেহারা পরিবর্তন হয়ে যাবে। ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে দেশীয় বিনিয়োগ বেড়ে দেশের অবস্থা আরও উন্নত হবে। চট্টগ্রাম হলো একটি সুন্দর ও অপার সম্ভবনার নগরী। চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সম্পদ কাজে লাগাতে পারলে দেশের বিনিয়োগ বাড়বে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামী, বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক)শংকর রঞ্জন সাহা, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক, মোয়াজ্জেম হোসাইন প্রমূখ।

মুআ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!