তিন কোস্টগার্ড-ডাক্তারসহ চট্টগ্রামে নতুন ১৩ করোনা পজিটিভ

একদিন পরে এলো সিভাসু ল্যাবের রিপোর্ট

পুলিশ, র‍্যাব সদস্য আক্রান্ত হওয়ার পর এবার করোনায় কবলে পড়লো সমুদ্র নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনী কোস্টগার্ডের তিন সদস্য।

বুধবার (৬ মে) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস (সিভাসু) ল্যাবের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে কোস্টর্গাড, পুলিশসহ ২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

আক্রান্তদের মধ্যে ১৪ জন চট্টগ্রামের, ৮ জন অন্যান্য জেলার। চট্টগ্রামের ১৪ জনের মধ্যে ফিল্ড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন একজন রোগীও রয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত দুই দিনে সিভাসু’র ল্যাবে ১২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ২২টি নমুনার ফলাফল করোনা পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে তিন জন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্য। দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের দুই পুলিশ সদস্য রয়েছেন আক্রান্তদের তালিকায়। এছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক চিকিৎসক ও তার স্ত্রী। উপজেলা পর্যায়ে বাঁশখালীর দুই নারী, মিরসরাই, সীতাকুণ্ড সাতকানিয়া ও হাটহাজারী উপজেলায় একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন।’

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সিএমপি পরিবারের দু’জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের একজন একটি ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার। আরেকজন ট্রাফিক বিভাগের উত্তর বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল। তিনি দামপাড়া পুলিশ লাইনে ট্রাফিক ব্যারাকে থাকেন। দু’জনকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন আগেই আক্রান্ত ছিলেন। পরবর্তী টেস্টেও তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এছাড়া হাটহাজারীতে এই প্রথম করোনা শনাক্ত হল সিভাসুর ল্যাবে।

সিভাসুর ল্যাব টেস্টে এছাড়াও রাঙ্গামাটির চারজন, লক্ষ্মীপুরের একজন, ফেনী জেলার একজন, নোয়াখালী জেলায় দুইজন শনাক্ত হয়েছেন। এই ফলাফলে রাঙ্গামাটিরও প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হলো।

চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ১২৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা, কুমিল্লা, কক্সবাজার ও রাজবাড়ীতে করোনা শনাক্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পাঁচ ব্যক্তিও এই তালিকায় রয়েছেন।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে এক শিশু, চার পুরুষ ও দুই নারীসহ মোট ৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বর্তমানে ১৪৯ জন রোগী আইসোলেশনে আছেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে ১ হাজার ৪০৩ জন।

এফএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!