তারা তিন ভাই : সবাই নাকি সাংবাদিক (ভুয়া)!

প্রতিদিন রিপোর্ট :

মাহফুজুর রহমান, রবিউল ইসলাম ও মো. আবু হাসান প্রকাশ মামুন। তিনজনই একই মায়ের গর্ভে সৃষ্টি। যেখানেই যায় একসাথে দলবদ্ধভাবেই যাই। তিনজনের পেশাও এক। কেউ খাবে কেউ খাবেনা এমন তো হবে না ঠিক এ নীতিতেই দীর্ঘদিন ধরে এক সঙ্গে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চষে বেড়াচ্ছে তিনভাই।

1bg20161025125427

 

তিন ভাইয়ের এক নীতিতে এলাকার অনেকেই অতিষ্ঠ, অসহায়। কারণ তিনজনই যে মস্ত বড় সাংবাদিক। তবে পত্রিকা বা টিভি কিংবা অনলাইন সাংবাদিক না। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অভিনব কায়দায় টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহজতর হওয়ার জন্যই এরা নামের পাশে সাংবাদিক শব্দটি যোগ করে। অথ্যাৎ এলাকাবাসী কিংবা পুলিশের উক্তি এরা নাকি ভুয়া সাংবাদিক।

 

ঘটনাটি প্রকাশ পায় সোমবার রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানা এলাকায় একটি বেকারিতে চাঁদা চাইতে গিয়ে গলধোলাইয়ের শিকার হওয়ার পর। কথায় আছে “চোরের দশদিন গেরস্থ্যের একদিন”। যায় হোক গণধোলাইটাও খেয়েছেন কিন্তু তিনজন একসাথে।

 

স্থানীয়দের কাছে জানা যায়, ওরা তিন ভাই, পাহাড়তলী এলাকায় এক মায়ের পেটের সন্তান। দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া সাংবাদিক সেজে এলাকার বিভিন্ন জনের কাছে প্রতারণা এবং চাঁদাবাজি করে আসছে তারা। তাদের অত্যাচার মিথ্যাচার আর ভয়ভীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী একজোট হয়ে সোমবার রাতে তিনজনকেই গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। রাত আটটার দিকে নগরীর পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া জানায়, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে এলাকার লোকজন ৩ জনকে পিটুনী দিয়ে আমাদের দিয়েছে। তারা তিনজন অনলাইন পত্রিকা নিউজ একাত্তর ডট কম’র সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সরাইপাড়ার ঢাকা বেকারিতে ঢুকে তিন ভাই বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর ছবি তোলেন।

 

এলাকাবাসীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তারা বেকারিতে অবৈধ জিনিস রয়েছে জানিয়ে টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ছবি ছাপানোর হুমকি দেন। তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে স্থানীয় জনতা তাদের গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পুলিশের টহল দল তাদের থানায় নিয়ে আসে। আটক তিন ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেফতার করে প্রতারণার মামলার পর তাদের কোর্টে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ওসি।

 

এদিকে নিউজ একাত্তর ডট কম সম্পাদকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আবু হাসান মামুন তার পত্রিকায় কিছুদিন কাজ করেছিল কিন্তু সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করায় মাসখানেক আগে তাকে পত্রিকা থেকে বের করে দেওয়া হয়।

রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!