তারা কখনও পুলিশ, কখনও ডিসি আবার কখনও সাংবাদিক!

নিত্যনতুন কৌশলে অপরাধ করে অনেকটা বীরদর্পে শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ছিনতাইকারীরা গ্রুপের সদস্যরা। কখনও পুলিশ, কখনও ডিসি আবার কখনও সাংবাদিকের সাজে ছিনতাইকারী গ্রুপের সদস্যরা অবাধে বিচরণ করে যাচ্ছে। সন্দেহ যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই ব্যবহার করে ওয়াকিটকি। বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে অফিস, চলাফেরাও করে দামি গাড়ি নিয়ে। কোথাও কোথাও পত্রিকার সম্পাদক পরিচয়ে লোকজনকে দেয় সাক্ষাৎকার।

গত ৩০ আগস্ট সকালে গাড়িচালক মো. মীর কাশেমকে ফোন করে কক্সবাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়ি ভাড়া করেন সাংবাদিকের ছদ্মবেশে ছিনতাইকারী মো.আসাদ (২৮), মো. হোসেন (২৭) এবং শারমিন (১৮)। তাদের সাথে যোগ দেয় কথিত পুলিশ অফিসার বাহাদুর শাহ এবং কথিত ডিসি পরিচয়ে তার স্ত্রী। হাতে থাকা ওয়াকিটকিতে বারবার ‘কন্ট্রোল রুম, কন্ট্রোল রুম’ বলে ডাকাডাকি করে নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছেন পুলিশের অফিসার। গাড়িচালক মীর কাশেমকে ইয়াবা ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা এবং মোবাইল কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে আটক হয় কথিত সাংবাদিক শারমিন। বাকিরা পালিয়ে যায়।

নারী ছিনতাইকারী শারমিনের দেয়া তথ্যমতে তাদের গ্রুপের সদস্য আসাদ আহম্মেদ, হোসেন এবং বাহাদুর শাহকে (৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে গ্রেফতার করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর আদালতে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে ছিনতাইকারীরা।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ছিনতাইকারী চক্রের সকল সদস্যকে আটক করে আইনের আওতায় আনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তারা (ছিনতাইকারীরা) পুলিশ, সাংবাদিক ও ডিসির ভুয়া পরিচয় দিয়ে ছিনতাই করে আসছে। অন্যান্য আসামিদের নাম তদন্ত ও গ্রেফতারের স্বার্থে আপাতত প্রকাশ করছি না। তাদের কাছে থাকা ওয়াকিটকি উদ্ধারের চেষ্টা করছি। তাছাড়া মামলাটি ডাকাতির মামলায় রূপান্তরের আবেদন করা হচ্ছে।’

এসআর/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!