তামিমের পর ওয়াহাব আগুনে ঢাকা প্লাটুনের দুর্দান্ত জয়

ব্যাট হাতে ঢাকা প্লাটুনকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন তামিম ইকবাল। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস। অন্যদিকে বল হাতে চমক দেখান পাকিস্তানি পেসার ওহাব রিয়াজ। মাত্র ৮ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট। তামিম-রিয়াজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে রাজশাহী রয়্যালসকে ৭৪ রানে হারিয়েছে ঢাকা প্লাটুন। সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৪ রান করে ঢাকা প্লাটুন। জবাবে নির্ধারিত ওভারের ২০ বল আগেই ১০০ রানে থেমে যায় রাজশাহী রয়্যালসের ইনিংস। পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান ওহাব রিয়াজ। এই জয়ের সুবাদে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আসরে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে

জয়ের মঞ্চটা তৈরি করে দিয়ে ছিলেন তামিম ইকবাল ও আসিফ আলি। তাদের ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়ে ছিল ঢাকা প্লাটুন। এরপর রাজশাহী রয়্যালসের ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখলেন ওয়াহাব রিয়াজরা। তার পথ ধরেই বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলে ১৭৪ রান। হাফ-সেঞ্চুরি করেন তামিম ও আসিফ। জবাবে নেমে ১৬.৪ ওভারে ঠিক ১০০ রানে আটকে যায় আন্দ্রে রাসেলের দল। ম্যাচে ওয়াহাব তুলে নেন ৫ উইকেট। তার আগুন ঝরা বোলিংয়ে হাসিমুখ ঢাকার সমর্থকদের!

অবশ্য কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে নেমে শুরুটা একেবারে মন্দ ছিল না রাজশাহীর। ৩.১ ওভারে দলের স্কোর যখন ৩৯ তখন সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস (১০)। কিন্তু তারপরই পথ হারায় দল। একই ওভারে অলক কাপালি ও শোয়েব মালিককে ফেরান ওয়াহাব রিয়াজ। দু’জনই কোনো রান না করেই আউট।

এরপর জয়ের পথ খুঁজে পায়নি রাজশাহী। ঢাকার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে যেন কিছুই করার ছিল না তাদের। বাকি ব্যাটসম্যানরা শুধুই উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিলে সামিল হয়েছেন। এই আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন ওয়াহাব রিয়াজ। পাকিস্তানি এই পেসার ৩.৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ৮ রানে নেন ৫ উইকেট। বিস্ময়কর বোলিং ফিগার ৩.৪-১-৮-৫!

ছয় ক্যাচ নিয়ে বিপিএলে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ড গড়লেন বদলি কিপার জাকের আলী। পিঠের ব্যথায় ফিল্ডিংয়ে নামেননি ঢাকার নিয়মিত কিপার এনামুল হক। তার বদলে খেলতে নেমেই বাজিমাত জাকেরের। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসেই তার ৬ ডিসমিসালের চেয়ে বেশি ডিসমিসাল আছে মাত্র একটি।

এর আগে দল যখন চাপে তখন আসিফ আলিকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন তামিম ইকবাল। ৭.৪ ওভারে অবিচ্ছিন্ন থেকে দু’জন জমা করেন ৯০ রান। এরমধ্যে ৪৪ বল খেলে ফিফটি তুলেন তামিম। তবে অন্য প্রান্তে আসিফ ব্যাটে তুলে ঝড়। চার ছক্কার ঝড় তুলেন এই পাকিস্তানি। ২৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন।

৫২ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। ইনিংসে ছিল তিনটি ছক্কা ও চারটি চার। আসিফ ২৮ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত। চার ছক্কা ও সমান চারে ইনিংস সাজান তিনি। রাজশাহীর ফরহাদ রেজা নিয়েছেন দুটি উইকেট।

এই জয়ে ৮ ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের অর্জন ১০ পয়েন্ট। ৭ ম্যাচে সমান পয়েন্ট রাজশাহীর। ১২ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি শীর্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ১৭৪/৫ (তামিম ৬৮*, এনামুল ১০, রিস ৯, মেহেদি ২১, আরিফুল ৭, মাশরাফি ০, আসিফ ৫৫*, রাসেল ১/৩৭, মালিক ১/১৩, বোপারা ১/১৭, ফরহাদ ২/৪৪)।
রাজশাহী রয়্যালস: ১৬.৪ ওভারে ১০০/১০ (লিটন ১০, আফিফ ২৮, কাপালী ০, মালিক ০, বোপারা ১০, নাহিদুল ১৪, রাসেল ৭, ফরহাদ ০, তাইজুল ৮, রাব্বি ৭, ইরফান ১*; মাহমুদ ১/২৪, ওয়াহাব ৫/৮, রিস ১/১১, শাদাব ১/৯)
ফল: ঢাকা প্লাটুন ৭৪ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: ওয়াহাব রিয়াজ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!