তামিমসহ তিন ‘চিটাগনিয়ান’ও আটকাতে পারেননি চট্টগ্রামের জয়রথ

চট্টগ্রাম বনাম বরিশাল খেলা। চট্টগ্রাম দলে ‘চিটাগনিয়ান’ কেউ না থাকলেও বরিশাল দলে রয়েছেন তিন ‘চিটাগনিয়ান’। জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সাথে অন্য দুজন হলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও বিপিএলের নিয়মিত মুখ ইরফান শুক্কুর এবং যুব বিশ্বকাপ জেতা ইমরান পারভেজ ইমন। তিনজনই টপঅর্ডার বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তাই লড়াইটি চট্টগ্রাম বনাম বরিশাল না হয়ে চট্টগ্রাম বনাম ‌’চিটাগনিয়ান’ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু তিন ‌’চিটাগনিয়ান’ও আটকাতে পারেনি চট্টগ্রামকে। টানা তৃতীয় জয় তুলে নিল বঙ্গবন্ধু কাপ টি-টোয়েন্টি কাপে।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) দিনের প্রথম খেলায় তারা ১০ রানে হারায় বরিশালকে। আগে ব্যাট করে চট্টগ্রামের করা ১৫১ রান তাড়া করতে নেমে বরিশাল থেমে যায় ১৪১ রানে।

দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের কল্যাণে প্রথম দুই ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের মিডল অর্ডার, লোয়ার-মিডল অর্ডারকে তেমন পরীক্ষাই পড়তে হয়নি। সোমবার তৃতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে হলো বলে পরীক্ষা দিতে হয়েছে গাজী গ্রুপের ব্যাটিং লাইনআপকে। লেটার মার্ক অবশ্য পায়নি মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটসম্যানরা। তবে মোস্তাফিজুর রহমানের ক্ষুরধার বোলিংয়ে টানা তৃতীয় জয় পেতে খুব একটা সমস্যা হয়নি গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আগে থেকেই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটির অবস্থান আরও শক্ত হলো। তিন ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই জেতা চট্টগ্রামের পয়েন্ট এখন ৬।

১৫১ রানের পুঁজি নিয়ে চট্টগ্রামের জয়ে বড় অবদান মোস্তাফিজুর রহমানের। মোস্তাফিজ অনেকদিন ধরেই দারুণ বোলিং করছেন। আলাদা করে বলার মতো উইকেট না পেলেও গত প্রেসিডেন্ট’স কাপেও দারুণ বোলিং করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। চলতি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে আরও ক্ষুরধার বাঁ-হাতি পেসার। কাটার, স্লোয়ার আর নিয়ন্ত্রিত বোলিং মনে করিয়ে দিচ্ছেন তার সেই অভিষেকের সময়টাকে। টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচ খেলা মোস্তাফিজের নামের পাশে এখন ৯টি উইকেট। এ যেন সেই পুরুনো মোস্তাফিজ! স্লগ ওভারে তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণেই শেষ পর্যন্ত আজ পেরে উঠেনি বরিশাল।

বরিশালের হয়ে তামিম ইকবাল এদিনও দারুণ শুরু করেছিলেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। মাঝে আফিফ হোসেন ধ্রুব, তৌহিদ হৃদয়রা দাঁড়িয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রানের বেশি তুলতে পারেনি বরিশাল। তামিম সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন। আফিফ ২২, হৃদয় ১৭ রান করেন।

এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে চট্টগ্রামকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি সৌম্য সরকার (৫)। তবে লিটন বলার মতো রান পেয়েছেন। ২৪ বলে ৪ চারে ৩৫ রান করেছেন। মাঝখানে শামছুর রহমান ২৮ বলে ২৬, মোসাদ্দেক হোসেন ২৮ বলে ২৪ ও শেষ দিকে সৈকত আলী ১১ বলে ২৭ রান করলে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!