তাবলিগ থেকে ভয়ঙ্কর জেএমবিতে পরিণত হয় শাহেদ

পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় আটক আরও ১

প্রথমে নামাজ কালামে উদ্বুদ্ধ করে তাবলীগের দাওয়াত দিয়ে পরে তাকে ভয়ঙ্কর জেএমবি সদস্যে পরিণত করা হয় খেটে খাওয়া এক সাধারণ কাঠমিস্ত্রিকে।

নগরের ষোলশহরের দুই নম্বর গেট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মো. শাহেদ (২৪) নামের আরও এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে শাহেদ পেশায় কাঠমিস্ত্রি। শাহেদকে প্রথমে তাবলিগের দাওয়াত দিয়ে নিজেদের দলে ভিড়ায় জেএমবি। তারপর নিজেদের উগ্র আদর্শে গড়ে তোলে।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) ভোররাতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং এলাকা থেকে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা জানিয়ে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বিস্তারিত আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে পরে জানাবো।’

প্রসঙ্গত, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রথমে বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে বিষ্ফোরণ মনে হলেও পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। ওই ঘটনায় পুলিশের সার্জেন্ট আরাফাত হোসেন ও এএসআই মো. আতাউদ্দিনসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত অপর তিনজনের একজন ১০ বছরের এক শিশু। ঘটনার পর ট্রাফিক পরিদর্শক অনিল বিকাশ চাকমা বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন।

এরপর ৩ মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ নব্য জেএমবির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া শাহেদ জানায়, নব্য জেএমবির সামরিক কমান্ডার শাহজালালের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে এই ঘটনায় অংশ নেয় সে। শাহেদ মাত্র দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। এরপর জীবিকা নির্বাহে কাঠমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করে। এক পর্যায়ে শাহজালাল তাকে তাবলিগের দাওয়াত দিয়ে প্রথমে নামাজ-কালামে উদ্বুদ্ধ করে। এরপর সময়ের ব্যবধানে জেএমবির আদর্শে গড়ে তুলে।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!