চৌধুরী মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম : তাপদাহে পুড়ছে দেশ । গত কয়েকদিন ধরে দেশের তাপমাত্রা ৩২-৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অব্যাহত রয়েছে। দেশ জুড়ে প্রচন্ড তাপদাহে জন জীবন অনেকটা বিপর্যস্ত। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সহ সারা দেশে মাঝে কয়েকদিন বৃষ্টি হবার পর আবারো তাপদাহ শুরু হয়। এ বছর আবহাওয়া অধিদপ্তর আগে থেকে জানিয়েছিল যে তাপমাত্রা গত বছরের রেকর্ড অতিক্রম করবে । তাপদাহের সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজি। তাপদাহের কারণে শিশু ও বৃদ্ব , খেটে খাওয়া মানুষদের বেশী অসুবিধা হয়। কায়িক পরিশ্রম করে খেটে খাওয়া মানুষেরা বিশেষত , রিকশা, ঠেলা, ভ্যান, ভারি বোঝা বহনের কাজে নিয়োজিত শ্রকিদের কষ্টটা অনেক বেশী । গরমের তীব্রতায় রিকশা চালানো বেশ কষ্টকর যেন প্রাণটা বেরিয়ে যাবে তার পরেও প্যাডেল মারতে হয় । অনেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ফুটপাতে বিক্রীত শরবত, তরমুজ,বাঙ্গি,আনারস খেয়ে গরমের তীব্রতা কিছুটা কমাতে চায়। এসব খোলা পরিবেশের খাবার ধুলোবালি , জীবানু ও ক্ষতিকর রং মিশ্রণের কারণে দেহের চরম ক্ষতি ডেকে আনে । তাই এসব শরবত ও খোলা পরিবেশের খাবার এড়িয়ে যাওয়া প্রয়োজন। বিশেষত দুপুরে রোদ কড়া হয়ে তাপমাত্রা বেড়ে যায় তখন পারত পক্ষে মানুষ ঘর থেকে বের হতে চায়না । রিকশার ভাড়াও হয় কম । তাই গরমে খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের অন্ত নেই। আর যারা বিভিন্ন গুদাম, ভারি বোঝা বহন, জাহাজ কাটার কাজ করে তাদের কষ্টের পরিমান আরো বেশী । তখন খেটে খাওয়া মানুষদের পেটের দায়ে গরমের তীব্রতা উপেক্ষা করে কাজ করতে হয় । কথা হয় এই রকম খেটে খাওয়া কয়েকজন মানুষের সাথে তারা বলেন, গরমে রিকশা বা অন্য কোন কাজ করা কঠিন হয়ে দাড়ালেও পেঠের দায়ে করতে হয়। না হলে আহার জুটবেনা। স্কুলগামী শিশুরা তাপদাহে প্রচন্ড কষ্ট অনুভব করে । তাই তাদের পাতলা সুতি কাপড় পরিধান, ও বেশী পরিমাণ পানি পান করতে হবে। বৃদ্বদের বেলাও এমন সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বেশী রোদর সময় যথাসম্ভব ছাতা ব্যবহার ও শীতল পরিবেশে থাকার চেষ্টা করতে হবে। খাবার দাবারের বেলায় পরিমানের বেশী ও ভাজা পোড়া এড়িয়ে চলতে হবে। একপশলা বৃষ্টি গরমের তীব্রতা কমিয়ে জনজীবনে প্রশান্তি এনে দেবে এমনটাই সবার কামনা।