তানিয়ার আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা, দুই আসামি গ্রেপ্তার

নগরীর আকবরশাহ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করা তানিয়ার পিতা।
সোমবার (২৭ মে) মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারণা ও আত্মহত্যার প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

হারুন চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘২৫ মে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে বিকাশ পয়েন্টের এজেন্ট আনোয়ার হোসেন তানিম আমার মেয়ে তানিয়ার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে সে তানিয়ার কাছ থেকে বিকাশের পাসওয়ার্ডও নিয়েছিল। বিষয়টি আমি এজাহারে উল্লেখ করেছি।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, তানিম যখন তানিয়াকে আটকে রাখে তখন স্থানীয় গোলাপী দত্ত আমার মেয়েকে বিদ্রুপাত্মক কথা বার্তা বলে অপমান করেছে। চড় থাপ্পড়ও দিয়েছিলেন। এ সময় সোহাগ ও সখিন নামের দুজন তানিয়ার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।

আকবরশাহ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিবুর রহমান বলেন, হত্যা মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে আমরা এজাহারভুক্ত দুই আসামি তানিম ও গোলাপীকে গ্রেপ্তার করেছি৷ এজাহারভুক্ত অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনার সাথে প্রযুক্তিগত কিছু বিষয় আছে। আশা করি অতিদ্রুত মামলার রহস্য উদঘাটন হবে। এতে দোষীদের আইনের আওতায় আনা যাবে।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৫ মে) রাত ৮ টায় বিশ্বব্যাংক কলোনির এল ব্লকের আফসার ভবনের নিচ তলার বাসা থেকে তানিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে আকবরশাহ থানা পুলিশ। বিকাশে লেনদেন সংক্রান্ত প্রতারণার শিকার হয়ে তানিয়া আত্মহত্যা করেছে। রোববার (২৬ মে) তারাবির নামাজের পর বাঁশখালী গ্রামের বাড়িতে তার লাশ দাফন করা হয়। তানিয়া বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!