তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে অনশন

কক্সবাজারের চকরিয়ায় আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক তরুণীকে গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত যুবক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (২৪) প্রকাশ বাবলু। সে চকরিয়া উপজেলার বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়ার আবদুল হাকিমের ছোট ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার (৩০ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় ওই তরুণীকে বমু পানিস্যাবিল নয়া বাজার এলাকার বাড়ি থেকে বাইকে করে তুলে আনে সাইফুল। তাকে খুঁজে না পেয়ে রাত ২টায় মেয়রকে বিষয়টি অবহিত করে মেয়ের মা। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রমিজ উদ্দিন ও কয়েকজন গ্রাম পুলিশসহ সন্দেহজনকভাবে সাইফুলের বাড়ি তল্লাশি করলে তার রুমে মেয়েটিকে পাওয়া যায়।

ইউপি সদস্য মো. রমিজ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমি সঙ্গে সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আহাম্মদ মিয়াকে জানালে তারা বলেন বিষয়টি সকালে সমাধান করা হবে। মেয়ে আপাতত ছেলের বাড়িতে থাকুক।

এদিকে ভোর না হতেই ছেলের পরিবার মেয়েটিকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে সাইফুলকে বাড়ি থেকে সরিয়ে দেয়।

ঘর থেকে বের করে দিলেও বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ওই তরুণী বিয়ের দাবিতে রোববার (৩১ মে) ভোর থেকে ছেলের বাড়ির সামনে অনশন শুরু করে।

ভিকটিম তরুণী জানায়, আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ১ বছর। এর আগেও সাইফুল আমাকে ৫/৬ বার রাতে তার ঘরে নিয়ে আসে। সে বহুবার আমার দেহ ভোগ করেছে। গতরাতে আমি আসতে না চাইলে সে আমার আপত্তিকর ছবি ফেইসবুক ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তাই আমি আসতে বাধ্য হয়েছি। রাত সাড়ে ১১ টায় মোটরসাইকেলে করে সে আমাকে নিয়ে আসে। ২ টায় আমার পরিবারের লোকজন ও মেয়র আমাকে খুঁজতে সাইফুলের বাড়িতে আসে। তারা সাইফুলের রুমে আমাকে পায়। সকালে সিদ্ধান্ত হবে বলে আমাকে তাদের পরিবারের জিম্মায় দিয়ে আসে।

তারা ভোরে সাইফুলকে সরিয়ে দিয়ে আমাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। আমি এখন কোথায় যাবো? সাইফুল যদি আমাকে বিয়ে না করে আমার মরণ ছাড়া উপায় নেই। আমি এখন ২ মাসের অন্তঃসত্তা। ভোরে সাইফুলের পরিবারের লোকজন মোবাইল, নাক-কানের স্বর্ণগুলো নিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।

বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব বলেন, রাতে আমাকে বিষয়টি রমিজ মেম্বার অবহিত করে। সকালে সিদ্ধান্ত হবে বলেছিলাম। সকাল হতে আমি ত্রাণ বিতরণে ব্যস্ত থাকায় এখনো বৈঠকে বসতে পারিনি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, মেয়ে পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। তারা অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!