ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে ছাত্রলীগের নতুন ঘোষিত কমিটিগুলোতে দেশের ছোট জেলা থেকেও অনেক বেশি নেতা স্থান পেলেও চট্টগ্রাম থেকে স্থান পেয়েছেন মাত্র একজন। এর বাইরে অপর একজন শুধু কক্সবাজার থেকে এসেছেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই শীর্ষ নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির দুই শীর্ষ নেতার জেলা থেকেই সবচেয়ে বেশি নেতা কমিটিগুলোতে স্থান পেয়েছেন। অনেকেরই অভিযোগ, আঞ্চলিকতার কাছে যোগ্যতা হয়েছে উপেক্ষিত।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। আগামী এক বছরের জন্য এসব কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
ঘোষিত কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের তালিকায় দেখা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে শুধু একজনই আছেন সেই তালিকায়। তিনি হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের নতুন সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হোসেন। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ছেলে। অন্যদিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন কক্সবাজারের টেকনাফের মেয়ে সানজিনা ইয়াসমিন।
তবে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কমিটিতে এসেছেন পল্লীকবি জসীমউদ্দীন হলের নতুন সাধারণ মো. লুৎফুর রহমান, কুমিল্লা থেকে বিজয় একাত্তর হলের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুস এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখি।
অন্যদিকে কমিটিগুলোতে ঘোষিত ৩৬ শীর্ষ নেতার মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের বরিশাল বিভাগ থেকে পাঁচজন এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের খুলনা বিভাগ থেকে সাতজন স্থান পেয়েছেন। আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের ময়মনসিংহ জেলা থেকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাতজন। সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের রংপুর বিভাগ থেকে এসেছেন চারজন।
বাকি ১১ জন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে চারজন, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে পাঁচজন, সিলেট ও রাজশাহী বিভাগ থেকে একজন করে কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
সিপি