ঢাকা মেট্রোর কাছে চট্টগ্রামের ইনিংস ব্যবধানে হার

জাতীয় ক্রিকেট লিগ

জাতীয় লিগে টায়ার টু থেকে টায়ার ওয়ানে যেতে হলে চট্টগ্রামকে থাকতে হবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। তৃতীয় রাউন্ডে সরাসরি জয়ে চট্টগ্রাম উঠে এসেছিল পয়েন্ট টেবিলের একদম চূড়ায়। কিন্তু চতুর্থ রাউন্ডে এসে ঘরের মাঠে (জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম) পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা ঢাকা মেট্রোর কাছে বাজেভাবে হেরেছে চট্টগ্রাম বিভাগ।

চারদিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ফলো অনে পড়ার পরই বোঝা গিয়েছিল বড় ব্যবধানে হারতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগ। তৃতীয় দিনে এসে সে ধারণাটাই বাস্তবে রূপ নিলো। তারা ইনিংস ও ৬৪ রানে হার মেনেছে ঢাকা মেট্রোপলিটনের কাছে।

চট্টগ্রামের হার এড়ানোর অসম্ভব কাজটা সাহস নিয়ে সম্ভব করার চেষ্টা করে গেছেন পিনাক ঘোষ (৫৭) ও ক্যাপ্টেন ইয়াসির আলি (৬৬)। কিন্তু তারা সফল হতে পারেননি। হাফ-সেঞ্চুরি নিয়েই দুজনকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। ফলো অনে নেমে তাদের দ্বিতীয় ইনিংস থেমে যায় ২৪৮ রানে।

ঢাকা মেট্রোর হয়ে শহীদুল ইসলাম নেন ৪ উইকেট। তার সঙ্গে দুটি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল্লাহ।

সাদমান ইসলাম (১৭৮) ও আল আমিনের (৮৩) ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে ৪০৩ রানের বড় পুঁজি গড়ে তোলে ঢাকা মেট্রোপলিস। জবাবে শরিফুল্লাহ ও তাসকিন আহমেদের বোলিং ছোবলে চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংসে ৯১ রানে গুটিয়ে গিয়ে পড়ে ফলো অনে।

ম্যাচ সেরা হন জাতীয় তারকা সাদমান ইসলাম। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার ও বিসিবি কাউন্সিলর শহীদুর রহমান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা মেট্রো. প্রথম ইনিংস: ৪০৩/১০, ১০৮.৪ ওভার (সাদমান ১৭৮, আল-আমিন ৮৩, শামসুর ৫০; মাহমুদ ৩/৭২, ইফরান ২/৬৬, নাঈম ২/১১১ ও আফ্রিদি ২/৭০)।

চট্টগ্রাম বিভাগ প্রথম ইনিংস: ৯১/১০, ৩০.৫ ওভার (সাদিকুর ২২, পিনাক ১২ ও নাঈম ১২; শরিফুল্লাহ ৪/৩০ ও তাসকিন ৩/৩৪।

চট্টগ্রাম বিভাগ দ্বিতীয় ইনিংস (ফলো অন): ২৪৮/১০, ৮০.২ ওভার (ইয়াসির ৬৬, পিনাক ৫৭, তাসামুল ৩৯ ও নাঈম ২৮; শহীদুল ৪/২৯, তাসকিন ২/৪৯ ও শরিফুল্লাহ ২/৫৯)।
ফল: ঢাকা মেট্রো ইনিংস ও ৬৪ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: সাদমান ইসলাম।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!