ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার চট্টগ্রামের ৪৮ মামলার আসামি

৪৮ মামলায় অভিযুক্ত মো. জাহিদ হোসেন মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা পুলিশ।

সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার রেডিসন ব্লু হোটেলের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে তাকে চট্টগ্রামে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডবলমুরিং থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহির ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় সাতটি সাজা, দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করা, চেক দিয়ে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের হওয়া ৪৮ মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত জাহিদ হোসেন মিয়া (৬৫) চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার খন্দকিয়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিম হোসেন মিয়ার ছেলে। নগরীর নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে তিনি পরিবার নিয়ে থাকতেন।

পুলিশ পরির্শক জহির হোসেন (তদন্ত), বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা মামলায় একের পর এক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে থাকলে দুই বছর আগে জাহিদ হোসেন ঢাকায় পাড়ি জমান। ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ২৩ নম্বর সড়কে রূপায়ন নাবিতাজ গার্ডেনে ফ্ল্যাট কিনে সেখানেই বসবাস শুরু করেন। মূলত গ্রেপ্তার ও আইনি জটিলতা এড়াতে তিনি চট্টগ্রাম ছাড়েন। তার বিরুদ্ধে ১২ মামলায় সাজামূলে পরোয়ানা জারি হয়। ডবলমুরিং থানায় ৯, হালিশহর থানায় ৬ এবং পাঁচলাইশ থানায় ৩৩ পরোয়ানা আছে।

জানা যায়, জাহিদ হোসেনের জাহাজ ভাঙ্গা, পানীয়, ফিশারিজসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা আছে। তার মালিকানাধীন ৮ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে জাহিদ এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, জেড ই স্টিলস লিমিটেড (শিপব্রেকিং), জাহিদ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, জাহিদ ফিশারিজ, ডিসকভারি ট্রেডিং কোম্পানি, রেহানা ফিশারিজ, জেড ই টেলিকম এবং জেড ই স্টিলস লিমিটেড। এছাড়াও ৬ খ্যাতনামা শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিবেশক হিসেবে তিনি নিয়োজিত আছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেড, গ্রামীণ ফোন লিমিটেড, মারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, ট্রান্সকম বেভারেজ লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড এবং বাংলাদেশ অলিভ অয়েল লিমিটেড।

এইচটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!