চট্টগ্রাম কাস্টমসে পানি ঘোষণায় ছাড় নেওয়ার সময় মদের সমতূল্য ক্রেজি ড্রিংক রেডবুল আটক করা হয়েছে। এতে শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়েছে অর্ধ কোটি টাকা। চালান আটকের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস।
জানা গেছে, কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি (বিএল নং ৫৮৬৭৪০১০৪) ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল ড্রিংকিং ওয়াটার (পানি)। কিন্তু কায়িক পরীক্ষায় পাওয়া গেছে ক্রেজি ড্রিংক রেডবুল।
কাস্টমসের বিল অব এন্ট্রি থেকে জানা যায়, ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘বেস্ট ওয়ে বিডি’ গত ১৯ অক্টোবর বেসিক ব্যাংক থেকে এলসি করেন ৮ হাজার ৫৪৮ ডলার। তিনি মালয়েশিয়া থেকে ফ্রট জুস ও বেভারেজ ওয়াটার ক্রয়ের জন্য এলসি খোলেন। পণ্যটি ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে আসে মার্সেন বিনতোলো নামের জাহাজে।
পণ্যটি ছাড়ের জন্য ওই তারিখেই কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দেয় সিএন্ডএফ এজেন্ট প্যাসিফিক ওয়েভ শিপিং লাইন। এতে পণ্যের ওজন দেখানো হয় ১৪ হাজার কেজি। এতে সন্দেহ হওয়ায় অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে লক করে কাস্টমসের এআইআর শাখা। পরে ৩০ ডিসেম্বর কায়িক পরীক্ষায় এতে পানির বদলে রেডবুল পাওয়া যায়।
এছাড়া ওই চালানে ঘোষণার অতিরিক্ত ৫ হাজার ৬৭৬ কোটি পণ্য পাওয়া যায়। মিথ্যা ঘোষণায় নিয়ে আসা পণ্যের মধ্যে ডিটারজেন্ট পাউডার, বিস্কুট ও বেবি ডায়াপার রয়েছে। ওই চালানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৫ জানুয়ারি প্রতিবেদন দেয় এআইআর শাখা।
কাস্টমসের এআইআর শাখার এক কর্মকর্তা জানান, চালানে যা ঘোষণা দিয়েছিল তা থেকেও ৮ হাজার ২২৭ কেজি বেশি আনা হয়েছে। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় আনা হয়েছে আরও ৫ হাজার কেজি। এতে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে অর্ধকোটি টাকা। ওই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে কাস্টমস।
কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিচার্স শাখার সহকারী কমিশনার নূর-এ-হাসনা সানজিদা অনসূয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ফ্রট ড্রিংকে ১৫০ শতাংশ শুল্ক এবং ক্রেজি ড্রিংকে ২৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। ওই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কৌশলে এ শুল্ক ফাঁকি দিতে চেয়েছিল।
এএস/এসএ