ডেভিড ওয়ার্নারকেই ছুঁতে পারল না শ্রীলঙ্কা

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বড় জয়

একজন ডেভিড ওয়ার্নার একাই হারিয়ে দিল পুরো শ্রীলঙ্কা দলকে। কথাটি আক্ষরিক নয়, বাস্তবেই ওয়ার্নারের একার করা রান ছুঁতে পারল না শ্রীলঙ্কার এগার জন মিলে। ফলে ওয়ার্নারের করা ১০০ রানের চেয়ে ১ রান কমে ৯৯ রানে শেষ হয় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। তখনো অস্ট্রেলিয়ার করা ২৩৩ রানের পাহাড় থেকে ১৩৪ রানে পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা।

নিজের ৩৩তম জন্মদিনটিকে রাঙিয়ে রাখার পথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি হাঁকান ওয়ার্নার। সঙ্গে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যারন ফিঞ্চ ঝড়ো ফিফটি করলে অস্ট্রেলিয়া পায় ২৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ।

পরে লঙ্কানরা ৯৯ রানে থেমে গেলে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে ১৩৪ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। এর আগে গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০০ রানের জয়টিই ছিল অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড।

২৩৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একবারের জন্যও মনে হয়নি ম্যাচটি জেতার পথে আছে শ্রীলঙ্কা। শুরু থেকেই তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা। সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন দাসুন শানাকা।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩টি উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা। এছাড়া মিচেল স্টার্চ ও প্যাট কামিনস নেন ২টি করে উইকেট।

এর আগে টস জিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকেই ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা। ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই লঙ্কানদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার এবং অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চ ডেভিড ওয়ার্নারকে নিয়ে রীতিমত ঝড় তোলেন।

১০.৫ ওভারেই তারা গড়ে ফেলেন ১২২ রানের জুটি। এ সময় ৩৬ বলে ৬৪ রান করে আউট হন ফিঞ্চ। ৮টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি। এরপর মাঠে নামেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ওয়ার্নারের সঙ্গে তিনি গড়েন ১০৭ রানের আরো একটি বড় জুটি।

১৯.৩ ওভারে যখন ম্যাক্সওয়েল আউট হন, তখন দলীয় রান ২২৯। ২৮ বলে ৬২ রানের ঝড় তুলে আউট হন ম্যাক্সওয়েল। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ম্যাক্সওয়েলের পর মাঠে নামেন অ্যাস্টন টার্নার। ১ বলে ১ রান করে থাকেন অপরাজিত।

ডেভিড ওয়ার্নার ৫৬ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১০টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কার মার মারেন তিনি ৪টি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। শ্রীলঙ্কার হয়ে ১টি করে উইকেট নেন লক্ষ্মণ সান্দাকান এবং দাসুন সানাকা।

অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড জয়ের দিন শ্রীলঙ্কাও একটি বিশ্বরেকর্ড গড়ে। শ্রীলঙ্কাকে বিব্রতকর রেকর্ডটি ‘উপহার’ দেন তাদের পেসার কুসান রাজিথা। ৪ ওভার বল করে রান দেন ৭৫! আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বাজে বোলিংয়ে রেকর্ড। চলতি বছরের আগস্টেই ইউরোপের টুর্নামেন্ট রোমানিয়া কাপে চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৭০ রান খরচ করেছিলেন তুরষ্কের পেসার তুনাহান তুরান।

আর টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এতদিন ধরে সবচেয়ে বাজে বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল আইরিশ পেসার ব্যারি ম্যাকার্থির। ২০১৭ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৬৯ রান খরচ করেছিলেন তিনি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!