ডেবারপাড়ে গুলিতে প্রাণ গেল একযুগ সাজা খাটা ডাকাতের

চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার দুই মামলায় একযুগ সাজা খেটে মুক্তি পাওয়ার পর ফের ডাকাতির সময় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং ডাকাত আব্দুল আজিজ প্রকাশ আইজ্জা। এ সময় ঘটনাস্থলে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং দুই রাউন্ড অব্যবহৃত কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে নাসিরাবাদ প্রপার্টিজ লিমিটেড নামে একটি আবাসিক এলাকার পেছনে ডেবারপাড়ে বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

জানা যায়, শুক্রবার (১৫ই নভেম্বর) গরিবুল্লাহ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় আরিফুল হক নামের এক ব্যক্তির বাসায় শুক্রবার ঠিক জুমার নামাজের সময় বাসায় অতর্কিতে তিনজন ডাকাত ঢুকে বাসার মহিলাকে আটক রেখে স্বর্ণের গয়না ও টাকা ছিনতাই করে। তারা সাথে দুটি মোবাইল ফোনও নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় খুলশী থানায় একটি ছিনতাই মামলা রুজু হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, সেই তিন ডাকাতের মূল হোতা ছিলেন আব্দুল আজিজ প্রকাশ আইজ্জা। বাকি দুইজন হলেন মৃত মো. বশিরের পুত্র মো. রফিক। তাকে গ্রেফতার করা হয় চন্দনাইশের রওশন হাট বিজিসি ট্রাস্টের পেছনে থেকে। অপর জন হলেন, মৃত আজগর আলীর পুত্র সিএনজিচালিত অটোরিকশা ড্রাইভার শাহজালাল।

খুলশী থানার ওসি প্রণব কুমার চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, গরিবুল্লাহ হাউজিং সোসাইটির এক ডাকাতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজিসহ ড্রাইভার শাহজালালকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে কোতোয়ালী থানা এলাকার পুরাতন গির্জা এলাকায় অবস্থিত নবরত্ন জুয়েলার্সের মালিক দুর্জয় বণিককে ছিনতাইকৃত গহনাসহ আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ছিনতাইয়ে জড়িত অপর আসামি মোহাম্মদ রফিককে (৫২) গ্রেফতার করা হয়।

এরপর রফিকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ছিনতাই কাজের মূলহোতা আজিজ ডাকাতকে ধরার জন্য সোমবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ডেবারপাড় এলাকায় অভিযান চালালে আজিজসহ তার অপর সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে ও পাথর নিক্ষেপ করে। এ সময় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। একপর্যায়ে ডাকাতরা পিছু হটে গেলে ঘটনাস্থলে আজিজকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, আজিজের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের একটি হত্যামামলা এবং একটি জননিরাপত্তা মামলায় ১২ বছর সাজা খাটার পর গত তিন মাস আগে সে জামিনে যায় এবং তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের একটি ডাকাতি মামলা বিচারাধীন আছে। তাছাড়া গ্রেফতারকৃত রফিক এবং শাহজালালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ছিনতাই মামলা রয়েছে।

এনজে/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!