ডিবি সেজে ডাকাতি, পতেঙ্গার ব্যবসায়ীর দেড় লাখ টাকা হাওয়া

মাছ ব্যবসায়ীর বিছানার নিচে ছিল দেড় লাখ টাকা— সেটা জানতে পেরেছিল পূর্ব পরিচিত কেউ। ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তিন যুবক নিয়ে গেছে মাছ ব্যবসায়ীর সে টাকা।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার মুসলিমাবাদ এলাকায় সোমবার (৩০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটেছে এমন প্রতারণার ঘটনা।

জানা যায়, মাছ ব্যবসায়ী মনির আহম্মদ বোরহান (২৫) থাকেন মুসলিমাবাদ সাবেক কমিশনার হাজী শফিক গলির হাজী আবু বকর সওদাগরের বাড়িতে। ওই বাড়ি ৬ কক্ষের সেমি পাকা ব্যাচেলর ঘরের মধ্যে একটিতে মনির আহম্মদ বোরহান ও তার রুমমেট আরিফুল ইসলাম (২১) থাকতেন।

ভুক্তভোগী বোরহান চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার উছিয়া ইউনিয়ন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খোলাল পাড়ার নজির আহম্মদের পুত্র। তিনি গত দেড় বছর ধরে হাজী আবু বকর সওদাগরের বাড়িতে বসবাস করছেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত প্রায় সাড়ে বারটার দিকে ডিবি পরিচয়ে বোরহানের বাসায় প্রবেশ করে তিন যুবক। তাদের মধ্যে দুইজনের বয়স ২৮ ও একজনের বয়স ২৬ বছর। তাদের একজনের হাতে ছিল ওয়াকিটকি। একজনের পরনে ছিল পুলিশের প্যান্ট ও জুতা। বাকি একজন সিভিল পোশাকে গেঞ্জি পরা ছিল।

ডাকাতরা ঘরে প্রবেশের পর অবৈধ মালামাল রয়েছে বলে ওই বাসায় তল্লাশি চালানো শুরু করে। কিছুক্ষণ তল্লাশি করার পর ভুক্তভোগীর বিছানার নিচে থাকা মাছ বিক্রির ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী মনির আহম্মদ বোরহান বলেন, ‘প্রায় সাড়ে বারটার দিকে আমার রুমে প্রবেশ করে তিন যুবক। তারা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। পরে আমার বিছনার নিচে তল্লশি চালিয়ে মাছ বিক্রির ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা নিয়ে যায় তারা। তাদের হাতে ওয়াকিটকিও ছিল।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে পতেঙ্গা থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, ‘মনির আহম্মদ বোরহান একজন মাছ ব্যবসায়ী। সেখানে তার সঙ্গে আরও একজন রুমমেট থাকত। ভুক্তভোগীর পূর্বের পরিচিতরা কেউ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। সেখানে তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে গিয়েছে।’

এ ঘটনায় মামলা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।

মুআ/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!