ডিপোর ভেতর ফেসবুকে লাইভ থাকতেই বিস্ফোরণে মারা যান ওয়ালিউর

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করছিলেন ওয়ালিউর রহমান নামে এক তরুণ। আগুন লাগার পরপরই রাত ১০ টার দিকে নিজের ফেসবুকে লাইভে আসেন ওয়ালিউর।

লাইভে দেখা যায়, কনটেইনারে আগুন জ্বলছে এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। তারপর বিকট শব্দে বিষ্ফোরন ও অন্ধকার। এর পরের চিত্র সবারই জানা।

মূলত যার লাইভ দেখে সবাই সীতাকুন্ডের বিএম ডিপোর অগ্নিকান্ডের ভয়াবহতার চিত্র আঁচ করতে পেরেছে সেই যুবকই মারা গেলেন বিষ্ফোরনে।

জানা যায় ওয়ালিউর ডিপোর একজন কর্মচারী ছিল। তার বাড়ি সিলেট মৌলভীবাজারে। আগুন লাগার পরপরই যখন তার সহকর্মীরা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যাচ্ছেন তখনই আগুনলাগা কন্টেইনারের খুব কাছে গিয়ে ফেসবুক লাইভে যান তিনি। এই লাইভই কাল হয়ে দাঁড়ালো তার

ওয়ালিউর রহমানকে দিবাগত রাত ২টার দিকে নগরীর বেসরকারী পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক অবস্থায় তিনি ডিপোর কর্মচারী বলে জানা গেলেও পাওয়া যায়নি তার বিস্তারিত পরিচয়।

শনিবার রাতে বিষ্ফোরনের পরপর ওয়ালিউরকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে মধ্যরাতে তাকে দুর্ঘটনাস্থলের থেকে একটু দূরে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গেলে দ্রুত তাকে পার্কভিউতে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ ৩০ জনকে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং একজন মারা যান। আর যিনি মারা যান তিনি ওয়ালিউর রহমান।

প্রসঙ্গত, শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ২ শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!