ডবলমুরিংয়ে হাতের রগ কেটে দিল ছাত্রলীগ কর্মীর, অবস্থা গুরুতর

চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকায় কথিত যুবলীগ নেতা ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী শাহ নেওয়াজ ওমায়ের প্রকাশ ওমর আলীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হায়দার নবী হৃদয় (১৫) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে ছুরিকাঘাত করে তার হাতের রগ কেটে দিয়েছে।

গুরুতর আহত হৃদয়ের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসতরা। গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে নগরীর ২৩ নম্বর উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের ধনিয়ালাপাড়া জালাল সওদাগর ঘীরা চান মিয়ার বিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাপ্পী ও কবির নামে দুজনকে আটক করেছে।

আহত হায়দার নবী হৃদয় একই এলাকার নুরুল আলমের পুত্র। অন্যদিকে, হামলাকারী ওমর আলী ২৩ নম্বর উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদের অনুুসারী হিসেবে পরিচিত। কাউন্সিলর জাবেদের ছত্রচ্ছায়ায় দীর্ঘ দিন ধরে ওমর আলী এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ আহত হৃদয়ের পরিবারের।

হৃদয়ের বড় ভাই নূর নবী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এলাকায় ওমরের নেতৃত্বে গাঁজা খাওয়া, আড্ডা দেওয়া, চিনতাই করাসহ ইয়াবা ব্যবসা চলে। তাদের ইয়াবা ব্যবসার কথা জেনে যাওয়ায় হৃদয়ের ওপর ক্ষেপে যায় তারা। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে হায়দার নবী হৃদয়কে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় বাপ্পী। বাসার গলির সামনে নিয়ে হৃদয়ের ওপর ওমরের নেতৃত্বে মো. বাপ্পী, নূর নবী, কবির, দেলোয়ার, সিফাত, সোহেল, বেজি সুমন হামলা চালায়। হৃদয়কে শরীরের সাত জায়গায় ছুরিকাঘাত করা হয়। তার হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়। ডাক্তার হৃদয়কে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেছেন।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের ডাক্তার সুুমন বলেন, ‘আহত হৃদয়ের অবস্থা খারাপ। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তার মাঝ পেটে বাম পাশে ছুরির আঘাত। বাম হাতে ভাসকুলার ইনজুরি, রক্ত কণিকা ছিঁড়ে গেছে। আমাদের পক্ষে তার চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। হৃদয়কে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।’

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদয়ের বাম হাত কেটে ফেলতে হবে।

এ ব্যাপারে ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মহিলাদের মধ্যে ঝগড়া ও কথা কাটাকাটির ঘটনায় কয়েকজন মিলে হৃদয়কে ছুরিকাঘাত করেছে। এ ঘটনায় ছুরিকাঘাতকারী বাপ্পাী ও কবির নামে অপর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত করে বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।’

ওমরের নেতৃত্বে ইয়াবা ব্যবসা, গাঁজা খাওয়া এবং এলাকায় আড্ডা দেওয়ার কোন তথ্য পাননি বলে জানান সুদীপ কুমার দাশ।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘পুরো এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে। কারা হামলা করেছে তা চিহ্নিত করা হোক। আর আমার ছত্রচ্ছায়ায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করবে কেন? আমি রাজনীতি করি। আমার অনেক অনুসারী থাকতে পারে। ওমরের বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ আছে? থানায় খবর নেন। আমরা জানা নেই।’

এমএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!