ভিডিও/ ডবলমুরিংয়ে দিনভর ছেলেধরা আতংক

ডবলমুরিং থানার ঝর্ণাপাড়া এলাকা থেকে সোমবার (২২ জুলাই) সকাল এগারোটায় ঘুরতে গিয়ে রেলওয়ে ক্লাব এলাকায় গিয়ে হারিয়ে যায় তিন শিশু। এ ঘটনায় এলাকায় ছেলেধরা নিয়ে গেছে এমন গুজবে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, ঝর্ণাপাড়া থেকে দুপুর বারোটার দিকে তিন শিশু মো. ডেকোরেশান মিস্ত্রী ইদ্রিসের পুত্র রবিউল ইসলাম এমরান (৭), সজিবের পুত্র মো. সাব্বির (৮) লেগুনা চালক মো. হোসেনের পুত্র মো. নাজিম (৭) তিনজন মিলে কাউকে না বলে বেড়াতে চলে যায়।

রেললাইনের পথে তারা হাঁটতে হাঁটতে রেলওয়ে ক্লাবে পৌঁছালে বাড়ির পথ ভুলে যায়। অন্যদিকে ঘটনার কিছুক্ষণ পর পরিবারের লোকজন তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করলে না পেয়ে ছেলে ধরা নিয়ে গেছে এমন গুজবে কান্নাকাটি শুরু করেন। এলাকায় ছেলে ধরা গুজব ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মসজিদের মাইকিং করে ছেলে ধরা বিষয়ে সতর্ক করা হয়। উত্তেজিত শত শত লোকেরা জমায়েত ঝর্ণা পাড়া মসজিদের সামনে জমায়েত হয়। পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। অপরিচিত কাউকে দেখামাত্র পরিচয় জানতে চেয়ে তর্ক শুরু করেন।

গুজবের বিষয়টি স্থানীয় ডবলমুরিং থানায় অবিহিত হয়ে ঘটনাস্থলে এস মানুষকে বোঝান। প্রশাসন এলাকায় যে কোন বিশৃঙ্খলার ব্যাপারে সতর্ক থাকেন। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনজনকে রেলওয়ে জাদুঘর এলাকায় পাওয়া গেলে উত্তেজনা কমে আসে।

মো. এমরানের দাদা মো. ইউনুস জানান, আমার নাতি বারটার সময় হারিয়ে গেলে আমরা ছেলে ধরা আতংকে থাকি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পাওয়া গেলে মনে শান্তি আসে।

স্থানীয় আজিজ নামের একজনের সাথে আলাপকালে জানান, সকালের দিকে ছেলেগুলো ঘুরতে বেরিয়ে রেল লাইনের পথ ধরে হাঁটতে গিয়ে পথ ভুলে যায়। ফলে এলাকায় ছেলে ধরা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে তাদের পাওয়া যায়।

সলিমুল্লাহ নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, শখের বশে ঘুরতে গিয়ে ছেলে তিনটি পথ হারিয়ে ফেলে। ফলে এলাকায় ছেলে ধরা গুজবে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাদের খুঁজে পাবার পর বিষয়টি শেষ হয়।

ডবলমুরিং থানার ওসি সুদীপ্ত কুমার দাশ বলেন, সকালে ছেলেগুলো ঘুরতে বেরিয়ে পথ হারিয়ে ফেলে। ফলে এলাকায় ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। আমরা সকলকে বুঝিয়েছি। হয়ত তারা ঘুরতে গিয়ে কোথাও হারিয়ে গেছে। আমরা যে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলার ব্যাপারে সতর্ক ছিলাম। পরে খোঁজাখুঁজির পর তাদের পাওয়া গেলে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়।

সিএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!