ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে দুদকের অভিযোগ অস্পষ্ট: মেয়র

ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে দূর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ স্পষ্ট নয় বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (মেয়র) আ জ ম নাছির উদ্দীন। সূনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নগর ভবনে নিজ দপ্তরে চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

দুদকের অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘দুদক আমাদেরকে কোন বিষয়ে অবহিত করেনি। উনারা উনাদের করণীয় নির্ধারণ করবেন।’

ট্রেড লাইসেন্স প্রদানে কোন ধরনের ভূল-ত্রুটি থাকলে সেটা ম্যানুয়াল সিস্টেমের ত্রুটি দাবি করে মেয়র বলেন, অভিযোগ জানানোর জন্য আমাদের হট লাইন রয়েছে। ৬১০৪ এ ফোন করে যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারেন। কিন্তু ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি।

এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘রাজস্ব বিভাগের অটোমেশনে যাওয়ার জন্য আমরা মরিয়া হয়ে আছি। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে অটোমেশন সম্পন্ন হবে। অটোমেশনে যেতে পারলে কোন ধরনের অনিয়মের সুযোগ থাকবে না। প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা কিছু দিন পর পর বদলি হয়ে যান। ভারপ্রাপ্ত রাজস্ব কর্মকর্তাকে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু মনিটরিং করতে বলেছি।’

আ জ ম নাছির দাবি করেন, অতীতেও অভিযোগ পেয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। এবারো সূনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে লঘু শাস্তি নয় গুরু শাস্তি দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, বুধবার (১০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে অনিয়মের অভিযোগে আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নগর ভবনে অভিযান চালায় দুদক। নগর ভবনের রাজস্ব বিভাগ ও নেজারত শাখায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক মো. লুৎফল কবির চন্দনের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালান। এরপর রিয়াজ উদ্দিন বাজারের চসিকের রাজস্ব সার্কেল-৪ এ অভিযান চালায় দুদক। অভিযানে ট্রেড লাইসেন্স প্রদানে দুই থেকে তিন গুণ ফি আদায়, ট্রেড লাইসেন্স বইয়ের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, আবেদন প্রাপ্তির স্বীকার পত্র ও রশীদ না দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া গেছে বলে সাংবাদিকদের জানান দুদক কর্মকর্তারা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!