ট্রাকে ট্রাকে বালু বিক্রি, ঝুঁকিতে সৈকত ও বেড়িবাঁধ

চট্টগ্রামের আনোয়ারার গহিরা সমুদ্র সৈকত থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বাণিজ্য চলছে। স্থানীয় কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র বেআইনী এ কাজে জড়িত। মাঝে মাঝে প্রশাসন নজরদারি বাড়ালে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকে সাময়িক। কিছুদিন পর আবার শুরু হয় বালু উত্তোলন। এতে সৈকতের সৌন্দর্য্য নষ্টের পাশাপাশি ঝুঁকির মুখে পড়ছে সৈকত ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।

সরেজমিন সোমবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, গহিরা বাইঘ্যার ঘাট এলাকা সৈকত থেকে বালু কেটে মিনি ট্রাকে তুলে নিচ্ছে ৭-৮ জন শ্রমিক। অন্তত ১৫ ফুট জায়গায় গর্ত করে বালু তোলা হয়েছে। বালু ভর্তি একটি মিনি ট্রাক লোকালয়ে ঢুকতেও দেখা গিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কারণে এই এলাকার ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে সৈকতের বালু চর দিয়ে। কিন্তু অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে চরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় গাড়ি চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে।

বালু তোলার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা বলেন, আমরা বালুগুলো সাবেক ইউপি সদস্য ছালে আহমদ ও আবদুর রহিম সওদাগরের জন্য তুলছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, গহিরা সৈকতের এ অংশ এমনিতেই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে এ অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিসি ব্লকসহ বাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু এখান থেকে মাঝে মাঝে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রভাবশালী কয়েকটি চক্র নিজেদের প্রয়োজনে যখন খুশি সৈকত থেকে বালু কেটে নিয়ে যায়।

বিষয়টি স্বীকার করে স্থানীয় ছালে আহমদ বলেন, বেশি বালু নয়, মাত্র দুই ট্রাক বালু তুলেছি। আমাদের একটি মসজিদের কাজে ব্যবহার করার জন্য।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, যারা সৈকত থেকে বালু তোলে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!