টেস্টে প্রতিদিনই ব্যাট করে রেকর্ডবুকে ইংলিশ ওপেনার বার্নস

টেস্ট ম্যাচ হয় পাঁচদিনের, সবদিনই যদি আপনি ব্যাটিং করার সুযোগ পান তাহলে অনুভূতি কেমন হবে? কিংবা আদৌ কি সবদিন ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাওয়া সম্ভব? ক্রিকেটে অসম্ভব শব্দের জায়গা খুবই কম। তাই এক টেস্টে পাঁচদিনই ব্যাটিং করার নজিরও দেখা গেছে বেশ কয়েকবার।
সঠিকভাবে বললে সোমবারসহ মোট ১০ জন ক্রিকেটার একই ম্যাচের পাঁচদিন ব্যাটিং করার বিরল কীর্তির সঙ্গী হয়েছেন। যার মধ্যে সবশেষ নামটি হলো ইংল্যান্ডের ওপেনার ররি বার্নস। তাও কি-না মর্যাদা অ্যাশেজ সিরিজে নিজের অভিষেক ম্যাচেই এ কীর্তি গড়েছেন বার্নস।

এজবাস্টনে সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম দিন টস জিতে আগে ব্যাট করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে ৮০.৪ ওভারে ২৮৪ রান করে তারা অলআউট হয়ে যায়। যে কারণে শেষ বিকেলে ২ ওভারের জন্য নামতে হয় ইংল্যান্ডকে। তখন ব্যাটিংয়ে নামেন জেসন রয় এবং ররি বার্নস।

পরে দ্বিতীয় দিনের পুরোটা সময় ব্যাটিং করে নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন বার্নস। দিনশেষে অপরাজিত থেকে যান ১২৫ রানে। যে কারণে তৃতীয় দিনেও সুযোগ পেয়ে যান ব্যাটিংয়ে নামার। তবে সেদিন বেশিক্ষণ ব্যাটিং করা হয়নি তার। দিনের ১৫তম ওভারে আউট হন ব্যক্তিগত ১৩৩ রানে। পরে তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের ৩১ ওভার ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ দিনেও তারা আরও ৮১ ওভার। ইংল্যান্ডের ৯০ রানের লিড পেরিয়ে তাদের সামনে ৩৯৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় সফরকারীরা।

তখনও চতুর্থ দিনের বেশ কিছু সময় বাকি থাকায় ব্যাটিংয়ে নামেন ইংল্যান্ড। ৭ ওভার ব্যাটিং করে ১৩ রান তুলে অপরাজিত থাকেন দুই ওপেনার রয় ও বার্নস। যার ফলে টানা পঞ্চম ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ তৈরি হয় বার্নসের সামনে এবং আজ (সোমবার) তিনি ব্যাটিং করতে নেমেই নাম লেখান এক ম্যাচের পাঁচদিনই ব্যাটিং করার বিরল কীর্তিতে। অসাধারণ এক রেকর্ড গড়লেও, প্রথম ইনিংসের মতো উজ্জ্বল হয়নি বার্নসের ব্যাট। দিনের তৃতীয় ওভারেই ব্যক্তিগত ১১ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে গেছেন তিনি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১ ওভারে ইংলিশদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২০ রান।

সবার আগে এক ম্যাচের পাঁচদিনই ব্যাটিং করা প্রথম ব্যাটসম্যান হলেন ভারতের লক্ষীনারসু জয়সিমহা। ১৯৬০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কলকাতা টেস্টে এ কীর্তি গড়েন তিনি। মাঝে আরও ৮ জনের পর ১০ম ব্যাটসম্যান হিসেবে এ রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন বার্নস।

টেস্টে পাঁচদিন ব্যাট করা ব্যাটসম্যানরা হলেন
লক্ষীনারসু জয়সিমহা (ভারত)- অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ১৯৬০
জিওফ বয়কট (ইংল্যান্ড) – অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ১৯৭৭
কিম হিউজ (অস্ট্রেলিয়া) – ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ১৯৮০
অ্যালান ল্যাম্ব (ইংল্যান্ড) – ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ১৯৮৪
রবি শাস্ত্রী (ভারত) – ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ১৯৮৪
অ্যাডাম গ্রিফিথ (অস্ট্রেলিয়া) – নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ১৯৯৯
অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ (ইংল্যান্ড) – ভারতের বিপক্ষে, ২০০৬
আলভিরো পিটারসন (দক্ষিণ আফ্রিকা) – নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০১২
চেতেশ্বর পুজারা (ভারত) – শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, ২০১৭
ররি বার্নস (ইংল্যান্ড) – অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ২০১৯

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!