টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত স্বামী-স্ত্রীর শরীরে ঠিক দুটি করে গুলি!

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক নারীসহ দুই রোহিঙ্গা সদস্য নিহত হয়েছেন। সম্পর্কে তারা স্বামী-স্ত্রী। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। তাদের শরীরে দুটি করে গুলির আঘাত রয়েছে। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাবি করেছেন, সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে তারা দুজন নিহত হয়েছে।

নিহতরা হলেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকের মৃত কাদের হোছাইনের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৩২) ও তার স্ত্রী জাহেদা বেগম (২৭)। এর আগে একটি অস্ত্রসহ তাদেরকে আটক করা হয়েছিল।

টেকনাফ থানা পুলিশ দাবি করেছে, নিহত দুজনের কাছে অবৈধ অস্ত্র মজুত ছিল। ঘটনাস্থল থেকে তারা দুটি এলজি, একটি থ্রি-কোয়ার্টার, আটটি তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করেছেন। এ সময় পুলিশের এএসআই নিজাম এবং কনস্টেবল শাহাদত ও সুদর্শন আহত হয়েছেন।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাস জানান, ‘শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার হ্নীলার ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে একটি এলজিসহ জাহেদা ও দিল মোহাম্মদকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের কাছে আরও অস্ত্র থাকার কথা জানায়। পরে রাতে তাদের নিয়ে পুলিশের একটি দল হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র উদ্ধারে যায়।’

ওসি প্রদীপ জানান, ‘এ সময় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পুলিশের ওপর গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে দিল মোহাম্মদ ও জাহেদাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।’

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন, পুলিশ রাতে গুলিবিদ্ধ এক নারী ও একজন পুরুষকে নিয়ে আসে। তাদের শরীরে দুটি করে গুলির আঘাত রয়েছে। অন্যদিকে আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!