টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন ডাকাতসহ নিহত চার

কক্সবাজারের টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন ডাকাতসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও দুইজনকে। শনিবার (৩ আগস্ট) এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় পৃথক ঘটনাস্থল থেকে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র, পাঁচটি কিরিচ ও ২৫ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়।

নিহতরা হলেন, টেকনাফ সদরের কায়ুকখালী পাড়ার আবদুল গফুরের পুত্র ইয়াবা ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান (৩৫), কুতুবদিয়ার লেমশিখালীর নুরুচ্ছফার পুত্র মো. আয়ুব (৩৩), একই উপজেলা ধুরংখালীর শাহাজাহান বাদশার পুত্র মো. জুনায়েত (৩৫) ও মাদারিপুর জেলার কালকিনি থানার মৃত জহিরুল মোল্লার ছেলে মো. ইমরান মোল্লা (২৭)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি পশ্চিম এনায়েতপুর এলাকার মোখলেসুর রহমানের পুত্র মো. সাইফুদ্দিন শাহিন (৩৮) ও টেকনাফ উপজেলার হাতিয়াঘোনার মৃত বাঁচামিয়ার পুত্র মো. সিদ্দিক (২৭)। নিহতদের মধ্যে তিনজন ডাকাত বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান, পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, এএসআই সজিব ও পুলিশ কনস্টেবল মেহেদী।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, শুক্রবার রাত তিনটার দিকে থানার নুরউল্লা ঘোনা পাহাড়ে একাধিক মামলার ১০-১৫ জনের একটি ডাকাতদল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল এলোপাড়াড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে তিন ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ডাকাতদের গুলিতে আহত হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান, পুলিশ পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, এএসআই সজিব ও কনস্টেবল মেহেদী।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে আরও দুই ডাকাতকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ঘটনাস্থল থেকে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র, পাঁচটি কিরিচ ও ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরো বলেন, এর আগে রাত দেড়টার দিকে মেরিন ড্রাইভ দরগার পাড়া এলাকায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা রাস্তার পাশে সন্দেহেজনক দাঁড়ানো দেখে সেখানে যায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অটোরিক্সাটি পালাতে থাকে। এক পর্যায়ে নিজেদের গোপন খবর প্রকাশ হওয়ার ভয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এতে ইয়াবা ব্যবসায়ী ইমরান মোল্লা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পরে পুলিশ আহত অবস্থায় মোল্লাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ইমরান চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!